মধ্যপ্রাচ্যের ভূ-রাজনীতিতে এক নতুন মোড় নিয়েছে ইরান ও ইরাকের সম্পর্ক। এক সময়কার দুই প্রতিদ্বন্দ্বী দেশ এখন কৌশলগত মিত্রতায় আবদ্ধ। আঞ্চলিক নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতা রক্ষায় একযোগে কাজ করার অঙ্গীকারে একত্রিত হয়েছে তারা।
সোমবার (২০ অক্টোবর) তেহরানে ইরানের সর্বোচ্চ জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের সচিব আলী লারিজানির সঙ্গে এক যৌথ সংবাদ সম্মেলনে ইরাকের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা কাসিম আল-আরাজি এই দৃঢ় অবস্থান ব্যক্ত করেন।কাসিম আল-আরাজি বলেন, ‘ইরান বা প্রতিবেশী কোনো দেশকে হুমকির মুখে ফেলতে কোনোভাবেই ইরাকের ভূমি ও আকাশসীমা ব্যবহারের অনুমতি দেওয়া হবে না। বাগদাদ তেহরানের সঙ্গে স্বাক্ষরিত নিরাপত্তা চুক্তির প্রতি সম্পূর্ণরূপে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।’
বিশ্লেষকরা বলছেন, ইরাকের এই ঘোষণার পেছনে মূল কারণ হলো গত জুনে ইরানের ওপর চালানো ইসরায়েলি বিমান হামলা। সে সময় অভিযোগ ওঠে, ইসরায়েল ইরাকের আকাশসীমা লঙ্ঘন করে ইরানের পারমাণবিক ও সামরিক স্থাপনায় অতর্কিত হামলা চালায়, যাতে ইরানের শীর্ষ পরমাণু বিজ্ঞানী ও সামরিক কর্মকর্তারা নিহত হন।ওই ঘটনার পরপরই ইরাক জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে তাদের আকাশসীমা লঙ্ঘনের দায়ে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দায়ের করেছিল।
ইরাকের আজকের এই ঘোষণা সেই ঘটনারই সরাসরি প্রতিক্রিয়া, যার মাধ্যমে বাগদাদ আঞ্চলিক সংঘাতে নিজেদের নিরপেক্ষতা এবং প্রতিবেশীর প্রতিশ্রুতির বিষয়টি স্পষ্ট করল।ইরানের সর্বোচ্চ জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের সচিব আলী লারিজানি বলেন, ইরাকের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টার সঙ্গে তার আলোচনায় নিরাপত্তা বিষয়ের পাশাপাশি অর্থনৈতিক সম্পর্ক সম্প্রসারণের ওপরও জোর দেওয়া হয়েছে। তিনি বলেন, ‘দুই দেশের অর্থনৈতিক সম্পর্ক স্থিতিশীল রাখতে চাইলে নিরাপত্তা সহযোগিতাও জোরদার করতে হবে।’
নাইজেরিয়ায় জ্বালানি ট্যাঙ্কারে ভয়াবহ বিস্ফোরণ, নিহত অন্তত ৩৮
ইথিওপিয়ায় দুই ট্রেনের সংঘর্ষ, নিহত অন্তত ১৫