বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের টেস্ট অধিনায়ক এখনো চূড়ান্ত নয়। গত জুলাইয়ে শ্রীলঙ্কা সফর শেষে দায়িত্ব ছেড়েছিলেন নাজমুল হোসেন শান্ত। এরপর থেকে খালি আছে টেস্ট দলের নেতৃত্বের আসন। আগামী মাসে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজ সামনে রেখে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) এবার নতুন অধিনায়ক খোঁজার প্রক্রিয়া শুরু করেছে।
আজ মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ-ওয়েস্ট ইন্ডিজ সিরিজের তৃতীয় ওয়ানডের বিরতিতে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বিসিবি সভাপতি আমিনুল ইসলাম বুলবুল জানান, টেস্ট অধিনায়ক নিয়োগে কোনো তড়িঘড়ি নয়, বরং বোর্ডের একাধিক পর্যায়ে আলোচনা করেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
বুলবুল বলেন, ‘আমরা একটা নীতিমালা নিয়েছি। কয়েকজনের সঙ্গে কথা বলব-বোর্ডের পক্ষ থেকে ক্রিকেট অপারেশনস, নির্বাচক প্যানেল, কোচিং স্টাফ সবাই মিলে আলাপ করবে। তারা যাকে উপযুক্ত মনে করবে, এবং তিনি নিজেও রাজি থাকলে, সবাই মিলে বসে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেব।’
বিসিবি সভাপতির ভাষায়, তিন–চারজন ক্রিকেটার রয়েছেন তাদের রাডারে। আলোচনায় আছেন লিটন দাস, মেহেদী হাসান মিরাজ, নাজমুল হোসেন শান্ত ও তাইজুল ইসলাম। ‘আমরা তিন–চারজনের সঙ্গে কথা বলব। যে সম্ভাব্য অধিনায়ক তার সামর্থ্য ও ক্যালিবার একটা বেঞ্চমার্ক মিট করলে শিগগিরই ঘোষণা দেব,’ বলেন বুলবুল।
নতুন করে শান্তকে ফের দায়িত্ব দেওয়া হতে পারে-এমন গুঞ্জন ছড়ালেও সেটি অস্বীকার করেছেন বিসিবি সভাপতি, ‘আমার সঙ্গে (নাজমুলের) এ বিষয়ে কোনো কথা হয়নি।’
টেস্ট অধিনায়কত্ব ছাড়ার পর থেকেই শান্তকে বোর্ডের তিন অধিনায়ক নীতির সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করতে দেখা গিয়েছিল। সেই নীতিতেই বর্তমানে ওয়ানডেতে নেতৃত্ব দিচ্ছেন মেহেদী হাসান মিরাজ এবং টি-টোয়েন্টিতে লিটন দাস।
তবে মিরাজের সাম্প্রতিক ওয়ানডে ফলাফল- টানা সিরিজ হার নিয়ে যখন প্রশ্ন উঠছে, তখনও তাঁকে সময় দিতে বললেন বিসিবি সভাপতি। বুলবুল বলেন, ‘সে নতুন অধিনায়ক। সবাই জানে, মিরাজ ক্যাপ্টেনস ম্যাটেরিয়াল। ওকে একটু সময় দিতে হবে। খেলায় জয়–পরাজয় থাকবেই। একজন অধিনায়কের মধ্যে পরিণতবোধ বোঝা যায়, ওর মধ্যে সেটা আছে।’
তবে পরিসংখ্যান মিরাজের পক্ষে যাচ্ছে না। তার নেতৃত্বে প্রথম ১০ ওয়ানডেতে জিতেছে মাত্র দুটি ম্যাচ। এ প্রসঙ্গে বুলবুলের ব্যাখ্যা, ‘আজকালকার দুনিয়া সংখ্যাভিত্তিক, কিন্তু শুধু সেটাতেই বিচার করা যায় না। পরিস্থিতি, উইকেট, দলের সমন্বয়-সব কিছুর ওপরই ফল নির্ভর করে।’
একই সঙ্গে তিনি জানান, তিন অধিনায়কের নীতি এখনো কার্যকর থাকলেও সেটা কঠোর নিয়ম নয়, ‘তিন অধিনায়ক দরকার, এমন কোনো স্বতসিদ্ধ নিয়ম নেই। আগে সুবিধা-অসুবিধা ভেবে দেখেছি, সুবিধাই বেশি মনে হয়েছে। তবে আলোচনার ওপর নির্ভর করছে কে কোন ফরম্যাটে নেতৃত্ব দেবে।’
আগামী মাসের শুরুতেই আয়ারল্যান্ডে শুরু হবে দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজ। তার আগেই নতুন টেস্ট অধিনায়কের নাম ঘোষণা করতে চায় বোর্ড।
