একই ক্যাডারে আগেই নিয়োগপ্রাপ্ত প্রার্থীদের জন্য বিসিএস বিধিমালা সংশোধন করে গেজেট প্রকাশ করেছে সরকার। এই সংশোধনের ফলে ৪৪তম বিসিএসের সংশোধিত ফলাফল চলতি সপ্তাহেই প্রকাশ করতে পারে। সরকারি কর্ম কমিশন (পিএসসি) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
পিএসসি জানিয়েছে, মূলত একাধিকবার বিসিএস পরীক্ষায় অংশ নিয়ে একই ক্যাডারে পুনরায় সুপারিশ পাওয়া রোধ করতেই বিদ্যমান বিধিমালা সংশোধন করা হয়েছে।
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় মঙ্গলবার (২৮ অক্টোবর) ‘বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস (বয়স, যোগ্যতা ও সরাসরি নিয়োগের জন্য পরীক্ষা) বিধিমালা, ২০১৪’ সংশোধন করে গেজেট প্রকাশ করেছে।
৪৩ তম বিসিএস নন-ক্যাডার চাকরিপ্রত্যাশীদের সড়ক অবরোধবিধিমালার ১৭ নম্বর ধারার শেষাংশে কিছু নতুন শর্ত যোগ করার প্রস্তাব করেছিল পিএসসি। গেজেটে উল্লেখ করা হয়েছে- বিদ্যমান বিধির ১৭ নম্বর ধারার শেষাংশে সংশোধিত অংশটি প্রতিস্থাপিত হবে।
পিএসসির সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, কমিশনের প্রস্তাব অনুযায়ী বিধি সংশোধনের অনুমোদন দিয়েছে সরকার। প্রধান উপদেষ্টার সইয়ের পর জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় সংশোধিত বিধির গেজেট জারি করেছে। এখন পিএসসি সংশোধিত ফল প্রকাশের প্রস্তুতি নিচ্ছে।
৪৯তম বিসিএস পরীক্ষার ফল প্রকাশ, উত্তীর্ণ ১,২১৯বিষয়টি নিয়ে পিএসসির জনসংযোগ কর্মকর্তা এস এম মতিউর রহমান বলেন, গেজেট জারি করা হয়েছে বলে জেনেছি। পিএসসি আনুষ্ঠানিকভাবে গেজেট পাওয়ার পর সংশোধিত ফল প্রকাশের কার্যক্রম শুরু হবে। তবে কবে নাগাদ ফল প্রকাশ করা হবে, তা তিনি নির্দিষ্ট করে জানাননি।
৪৪তম বিসিএসের প্রিলিমিনারি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয় ২০২২ সালের ২৭ মে। প্রিলিতে উত্তীর্ণ হন ১৫ হাজার ৭০৮ জন, লিখিত পরীক্ষায় ১১ হাজার ৭৩২ জন। দীর্ঘ প্রক্রিয়া শেষে চলতি বছরের ৩০ জুন এক হাজার ৬৯০ প্রার্থীকে চূড়ান্তভাবে সুপারিশ করে পিএসসি। তবে এতে প্রায় ৪০০ জন প্রার্থী আগের বিসিএসের একই ক্যাডারে নিয়োগপ্রাপ্ত থাকায় কিছু পদ শূন্য থেকে যাওয়ার শঙ্কা দেখা দেয়।
এমন পরিস্থিতিতে পিএসসি বিধি সংশোধনের উদ্যোগ নেয় এবং রিপিট ক্যাডারের তথ্য যাচাই করে পুনরায় ফল প্রকাশের প্রস্তাব করে। এর ফলে প্রায় দেড় হাজার প্রার্থীর চূড়ান্ত নিয়োগ অনিশ্চিত হয়ে পড়ে। তারা কয়েক দফায় মানববন্ধন করে দ্রুত সংশোধিত ফল প্রকাশ ও গেজেট জারির দাবি জানান।
৪৩ ও ৪৪তম বিসিএস চাকরিপ্রত্যাশীদের বিক্ষোভনতুন বিধি অনুযায়ী, একই ক্যাডারে পুনরায় সুপারিশ পাওয়া বা আগ্রহহীন কোনো পদে মনোনয়ন প্রত্যাখ্যানকারী প্রার্থীদের সরকারে সুপারিশ করা থেকে বিরত থাকতে পারবে পিএসসি। এ কারণে যেসব পদ শূন্য থাকবে, সেখানে মেধাক্রম অনুসারে অন্য উত্তীর্ণ প্রার্থীদের সম্পূরক ফলাফলের মাধ্যমে সুপারিশ করা যাবে। তবে এই প্রক্রিয়ায় পূর্বে ঘোষিত ফলাফলে ইতোমধ্যে সুপারিশপ্রাপ্ত প্রার্থীদের অবস্থানে কোনো পরিবর্তন ঘটবে না।
পিএসসি সূত্রে জানা গেছে, সংশোধিত ফল প্রস্তুতের কাজ শেষ পর্যায়ে রয়েছে। ফলাফল প্রকাশের পর দ্রুত নিয়োগ প্রক্রিয়াও শুরু হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
