দলীয় কোন্দলে গুলি খেতে না চাইলে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) রাজনীতি করার আহ্বান জানিয়েছেন এনসিপি দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আব্দুল্লাহ। বুধবার (৫ নভেম্বর) সন্ধ্যায় চট্টগ্রাম মহানগর, উত্তর ও দক্ষিণ জেলা এনসিপির সমন্বয় সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন।
সম্প্রতি চট্টগ্রামে বিএনপি মনোনীত প্রার্থীর গুলিবিদ্ধ হওয়ার ঘটনার প্রসঙ্গ টেনে হাসনাত আব্দুল্লাহ নেতাকর্মীদের উদ্দেশে বলেন, দলীয় কোন্দলে গুলি খেতে না চাইলে আপনারা এনসিপির রাজনীতি করবেন।
হাসনাত আসন্ন নির্বাচনকে মাফিয়া, চাঁদাবাজ ও বুলেটের বিরুদ্ধে ভোট হিসেবে আখ্যা দেন। ক্ষোভ প্রকাশ করে তিনি আরও বলেন, চট্টগ্রামে ব্যালটের চেয়ে বুলেট শক্তিশালী হয়েছে। যারা ব্যালটের চেয়ে বুলেটকে শক্তিশালী করেছে তাদের বিচার হবে।
বিএনপি থেকে মনোনয়ন বঞ্চিত নেতাদের এনসিপিতে স্বাগত জানিয়ে তিনি বলেন, এনসিপি জোটে নয়, নির্বাচনে সিট পুনর্বণ্টনে নয়, রাষ্ট্র পুনর্গঠনে বিশ্বাসী। এনসিপি যেই অবস্থান নেয়, বিএনপি-জামায়াত সেখানে আসতে বাধ্য হয়।
এই সরকারের দুই উপদেষ্টার কার্যক্রম নিয়েও হাসনাত আব্দুল্লাহ তীব্র অসন্তোষ প্রকাশ করেন। স্বাস্থ্য উপদেষ্টার ব্যর্থতা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এই সরকারের সবচেয়ে ব্যর্থ প্রজেক্ট হলো স্বাস্থ্য উপদেষ্টা। তিনি স্বাস্থ্য বুঝেন না, কেবল কিস্তি নেওয়া ও মেডিসিন বিক্রি করলে কত লাভ, তা বোঝেন।
তিনি অভিযোগ করেন, খুলনায় জুলাই যোদ্ধার চোখ হারানোর দায় স্বাস্থ্য উপদেষ্টার।
এ ছাড়া জুলাই যোদ্ধাদের পাওনা পরিশোধে বিলম্ব করায় মুক্তিযোদ্ধা উপদেষ্টার প্রতিও তিনি অসন্তোষ প্রকাশ করেন। হাসনাত হুঁশিয়ারি দেন, পাওনা শিগগিরই মিটিয়ে দেওয়া না হলে প্রটোকলে থাকা দামি গাড়ির কালো গ্লাসের ভেতর থেকে টেনে বের করে তা আদায় করা হবে।
দলীয় কার্যক্রমে গতিশীলতা আনতে চট্টগ্রাম নেতাদের তিনি কঠোর বার্তা দেন। তিনি বলেন, এনসিপির চট্টগ্রাম নেতাদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি কোরাম দেখেছি। নিজের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখতে চাইলে কোরাম বাদ দিতে হবে। একা সফল হতে চাইলে পতন নিশ্চিত, আর সারভাইব করতে হলে সবাইকে এক হয়ে কাজ করতে হবে। মাইম্যান পলিটিক্স বাদ দিতে হবে।
চট্টগ্রামে বিএনপি প্রার্থীর ওপর হামলায় অন্তর্বর্তী সরকারের নিন্দা