শক্তিশালী টাইফুন কালমায়েগির তাণ্ডবে বিপর্যস্ত ফিলিপাইনে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ১১৪ জনে পৌঁছেছে। নিখোঁজ রয়েছেন অন্তত ১২৭ জন। এ পরিস্থিতিতে দেশটিতে জাতীয় জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছেন প্রেসিডেন্ট ফার্দিনান্দ মার্কোস জুনিয়র।
বৃহস্পতিবার (৬ নভেম্বর) জাতীয় দুর্যোগ ঝুঁকি হ্রাস ও ব্যবস্থাপনা কাউন্সিলের এক ব্রিফিংয়ে প্রেসিডেন্ট মার্কোস জানান, এই জরুরি ঘোষণা দ্রুত উদ্ধার, ত্রাণ ও পুনর্বাসন কার্যক্রম পরিচালনা এবং জরুরি তহবিল ব্যবহারে সহায়তা করবে।
মার্কোস বলেন, ‘যেহেতু টাইফুন কালমায়েগি এবং আসন্ন উয়ানের প্রভাব দেশের বিস্তৃত অঞ্চলে পড়বে, তাই আমি জাতীয় দুর্যোগ অবস্থা ঘোষণার প্রস্তাব অনুমোদন করেছি। দুটি টাইফুনে অন্তত ১০ থেকে ১২টি অঞ্চল ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে।’
সবচেয়ে ভয়াবহ পরিস্থিতি মধ্যাঞ্চলের সেবু প্রদেশে। যেখানে ঘরবাড়ি, সেতু, এমনকি বিশাল জাহাজের কনটেইনার পর্যন্ত ভেসে গেছে বন্যার স্রোতে। স্থানীয় প্রশাসনের মতে, এই প্রদেশেই মারা গেছেন অর্ধশতাধিক মানুষ।
লিলোয়ান শহরে একদিনের ব্যবধানে উদ্ধার করা হয়েছে ৩৫টি মরদেহ। প্রবল স্রোতে ভেসে গেছে ঘরবাড়ি। নেই মাথা গোঁজার ঠাঁই। অনেকের বাড়ি ডুবে যাওয়ায় আশ্রয় নিয়েছেন ছাদে। রয়েছেন সাহায্যের অপেক্ষায়।
প্রায় দুই লাখ মানুষকে নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে নেয়া হয়েছে। এখনও যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন বহু এলাকা। দেশটির কর্মকর্তারা বলছেন, দীর্ঘদিনের অবৈধ খনন আর দুর্বল বাঁধনির্মাণের কারণেই এই ভয়াবহ পরিস্থিতি। গত মাসের ৬ দশমিক ৯ মাত্রার ভূমিকম্পের ধাক্কা কাটিয়ে না উঠতেই নতুন করে টাইফুনের আঘাত যেন মরার ওপর খাঁড়ার ঘাঁ।
ফিলিপাইনে তাণ্ডবের পর ভিয়েতনাম উপকূলের দিকে ধেয়ে যাচ্ছে টাইফুন কালমায়েগি। বর্তমানে এটি দক্ষিণ চীন সাগরে অবস্থান করছে। আবহাওয়া অধিদফতরের আশঙ্কা, শুক্রবার সকালে ভিয়েতনামে আঘাত হানতে পারে ঝড়টি। ভারি বৃষ্টি ও আকস্মিক বন্যার আশঙ্কায় থাইল্যান্ডেও সতর্কতা জারি করা হয়েছে।
ফিলিপাইনে টাইফুন কালমায়েগির তাণ্ডব, নিহত বেড়ে ৯৩
টাইফুন কালমায়েগির আঘাতে ফিলিপাইনে মৃত্যু বেড়ে ৬৬