নোয়াখালীতে ৬টি আসনে ৬২ প্রাথীর মনোনয়নপত্র দাখিল

আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নিতে আনন্দমুখর পরিবেশে নোয়াখালীর ৬টি সংসদীয় আসনে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন ৬২জন প্রার্থী।  

সোমবার (২৯ ডিসেম্বর) সন্ধ্যার দিকে জেলা প্রশাসক ও রিটার্নিং কর্মকর্তা মুহাম্মদ শফিকুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

তিনি জানান, আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নোয়াখালীর ৬টি সংসদীয় আসনে ৮৮ জন প্রার্থী মনোনয়ন সংগ্রহ করেন। সোমবার মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ দিনে ছয়টি সংসদীয় আসনে ৬২ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র দাখিল করেন।

এর মধ্যে, নোয়াখালী-১ (চাটখিল-সোনাইমুড়ী আংশিক) আসনে ৮ জন, নোয়াখালী-২ (সেনবাগ ও সোনাইমুড়ী আংশিক) আসনে ১০ জন, নোয়াখালী-৩ (বেগমগঞ্জ) আসনে ৭ জন, নোয়াখালী-৪ ( সদর-সুবর্ণচর) আসনে ৮ জন, নোয়াখালী-৫ ( কোম্পানীগঞ্জ-কবিরহাট এবং সদরের দুই ইউনিয়ন) আসনে ১৫জন, নোয়াখালী-৬ (হাতিয়া) আসনে ১৪জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দেন। এদের মধ্যে বিএনপির ৬ জন ও জামায়াতে ইসলামের ৬ জন প্রার্থী রয়েছেন।

অপরদিকে, নোয়াখালী-৬ আসনে বিএনপির শক্তিশালী বিদ্রোহী প্রার্থী রয়েছেন দুই জন। তারা হলেন, সাবেক সংসদ সদস্য মোহাম্মদ ফজলুল আজিম ও উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও জেলা বিএনপির সদস্য প্রকৌশলী তানভীর উদ্দিন রাজীব। নোয়াখালী-২ আসনে কাজী মোহাম্মদ মফিজুর রহমান ও নোয়াখালী-৫ আসনে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী মওদুদ আহমদের স্ত্রী হাসনা জসীম উদ্দীন মওদুদ স্বতন্ত্র প্রাথী হয়েছেন।  

এ ছাড়া, ছয়টি আসনে বিএনপির দলীয় প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন প্রার্থীরা। তারা হলেন, নোয়াখালী-১ (চাটখিল ও সোনাইমুড়ী আংশিক) আসনে বিএনপির দলীয় প্রার্থী ব্যারিস্টার এ এম মাহবুব উদ্দিন খোকন, নোয়াখালী-২ (সেনবাগ ও সোনাইমুড়ী আংশিক) আসনে বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও দলীয় প্রার্থী জয়নুল আবদিন ফারুক, নোয়াখালী-৩ (বেগমগঞ্জ) আসনে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ও দলীয় প্রার্থী বরকত উল্ল্যা বুলু, নোয়াখালী-৪ (সদর ও সুবর্ণচর) আসনে বিএনপির দলীয় প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন দলের ভাইস চেয়ারম্যান মোহাম্মদ শাহজাহান, নোয়াখালী-৫ (কোম্পানীগঞ্জ-কবিরহাট এবং সদরের ২ ইউনিয়ন) আসনের বিএনপির প্রার্থী ফখরুল ইসলাম, নোয়াখালী-৬ (হাতিয়া) আসনে বিএনপির প্রার্থী মাহবুবের রহমান শামীম।

উল্লেখ্য, সংশোধন করা তফসিল অনুযায়ী, সংসদ নির্বাচনে প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ দিন ছিল ২৯ ডিসেম্বর। মনোনয়নপত্র বাছাই হবে ৩০ ডিসেম্বর থেকে ২০২৬ সালের ৪ জানুয়ারি পর্যন্ত। রিটার্নিং কর্মকর্তার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আপিল দায়েরের সময় ৫ জানুয়ারি থেকে ৯ জানুয়ারি। আপিল নিষ্পত্তি হবে ১০ থেকে ১৮ জানুয়ারি পর্যন্ত সময়ে। প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ তারিখ ২০ জানুয়ারি। রিটার্নিং কর্মকর্তা চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করে প্রতীক বরাদ্দ করবেন ২১ জানুয়ারি। নির্বাচনি প্রচারণা শুরু হবে ২২ জানুয়ারি। প্রচার চালানো যাবে ১০ ফেব্রুয়ারি সকাল সাড়ে সাতটা পর্যন্ত। ভোটগ্রহণ হবে ১২ ফেব্রুয়ারি।