মুরাদনগরে জমজমাট মাছ ধরার আনতা হাট

কুমিল্লার মুরাদনগরে বিভিন্ন হাট বাজারে বিক্রি হচ্ছে মাছ ধরার ফাঁদ আনতা। এটি গ্রামাঞ্চলে মাছ ধরার খুব জনপ্রিয় একটি মাধ্যম।
 
বর্ষার পানি নামার সঙ্গে সঙ্গে নিম্নাঞ্চলে পানির মধ্যে এ আনতা রেখে দেওয়া হয়। খাল-বিল ও জলাশয়ের পানি নদীতে চলাচলের সময় ছোট ছোট মাছগুলো বাঁশের তৈরি আনতার ফাঁদের ভেতরে আটকা পড়ে। এ সময়ে সব জায়গায় মাছও পাওয়া যাচ্ছে।
 
উপজেলার ঐতিহ্যবাহী রামচন্দ্রপুর বাজার, দক্ষিণ বাঙ্গরা বাজার ও মালাই বাঙ্গরা বাজার গিয়ে দেখা গেছে, প্রতিটি আনতা আকার ভেদে ৩০০- ১২০০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হচ্ছে।
 
আনতা ব্যবসায়ী কবির হোসেন বলেন, এ মৌসুমে প্রতি হাটে ৬৯-৭০টি আনতা বিক্রি করি। দূর-দূরান্ত থেকে আমার কাছে এসে মানুষ আনতা কিনে নিয়ে যায়। বর্ষার শেষ দিকে এসে আমাদের এলাকায় আনতা বিক্রি বেড়ে গেছে।
কারণ এ সময়ে ছোট ছোট মাছগুলো পানি কমার সাথে সাথে নিম্নাঞ্চল থেকে পানি নামতে শুরু করলে আনতাগুলো জমির আইলে আনতা ২ পাশে খুঁটি দিয়ে বেঁধে রেখে আনতা উওরে ও দুইপাশে কচুরিপানা দিয়ে পানিতে ১ ঘণ্টা পুঁতে রাখলে আনতায় মাছগুলো আটকে পড়ে।
 
ব্যবসায়ী মতিন মিয়া বলেন, এ মৌসুমে প্রতিদিন ২-৩ কেজি মাছ ধরতাম, তা বিক্রি করতাম ৩০০-৪০০ টাকায়। আমি প্রতি মৌসুমে পানি কমার সময় ৫-৬টি আনতা কিনে নিয়ে যাই। এগুলো দিয়ে যে মাছ পাওয়া যায়, তা নিজেদের চাহিদা মিটিয়ে বাকি মাছ রাস্তা পাশে বসে ও বাজারে বিক্রি করি।
 
দেশীয় পদ্ধতিতে এ সময় মাছ ধরার মেতে উঠে ছোট-বড় সব বয়সের মানুষ। বিশেষ করে গ্রাম অঞ্চলে ছোট মাছ ধরার ধুম পড়ে।