কুয়াশায় আচ্ছন্ন দিনাজপুরে বাড়ছে শীতের তীব্রতা

দিনাজপুরে শীতের তীব্রতা আরও বেড়েছে। শীত বাড়ার পাশাপাশি সকালজুড়ে ঘন কুয়াশায় ঢেকে যায় শহর ও গ্রামাঞ্চল। এতে জনজীবনে খানিকটা ভোগান্তি সৃষ্টি হয়। বিশেষ করে অফিস, আদালত, শিক্ষার্থী, দিনমজুর ও শ্রমজীবী মানুষের চলাফেরায় দেখা যায় ধীরগতি।

শুক্রবার (৫ ডিসেম্বর ) সকাল ৬টায় দিনাজপুরে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে ১৩.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস, আর বাতাসের আদ্রতা ছিল ৯৪ শতাংশ। পরে সকাল ৯টার দিকে তাপমাত্রা নেমে দাঁড়ায় ১২.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা চলতি মৌসুমের অন্যতম সর্বনিম্ন তাপমাত্রা হিসেবে ধরা হচ্ছে। 

তেতুলিয়া (পঞ্চগড়) ১২ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস, রংপুর ১৫ দশমিক ০ ডিগ্রি সেলসিয়াস, সৈয়দপুর ১৪ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস, ডিমলা (নীলফামারী) ১৪ দশমিক ০ ডিগ্রি সেলসিয়াস, বগুড়া ১৫ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস, ঈশ্বরদী (পাবনা) ১৪ দশমিক ০ ডিগ্রি সেলসিয়াস, রাজশাহী ১৩ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস, রাজারহাট (কুড়িগ্রাম) ১৩ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস, বদলগাছি (নওগাঁ) ১২ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যশোর: ১২ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস, চুয়াডাঙ্গা ১২ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস, শ্রীমঙ্গল (মৌলভীবাজার) ১২ দশমিক ০ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

আজ দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে পঞ্চগড়ের তেতুলিয়া ও মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে, উভয় জায়গায় ১২.০ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

দিনাজপুর জেলা আবহাওয়া অফিসের ইনচার্জ তোফাজ্জল হোসেন বলেন, উত্তর দিক থেকে ঠান্ডা বাতাস বইছে। সেই সাথে রাতের আর্দ্রতা বেশি থাকায় তাপমাত্রা দ্রুত কমে যাচ্ছে। পরবর্তী কয়েকদিন শীত আরও বাড়তে পারে।
তিনি আরো বলেন, দুর্বল ও শিশু-বয়স্কদের জন্য বিশেষ সতর্কতা প্রয়োজন। প্রতিদিন ভোররাতে হঠাৎ তাপমাত্রা কমে যাচ্ছে, যা সর্দি-কাশিসহ নানা রোগের ঝুঁকি বাড়ায়।

শহরের বিভিন্ন এলাকার দিনমজুররা জানান, ঠান্ডায় ভোরে কাজে বের হওয়া কষ্টকর হয়ে উঠেছে। অনেকেই সকাল দেরিতে কাজে যোগ দিচ্ছেন।

ব্যবসায়ীরা বলেন, সকালে কুয়াশা বেশি থাকায় যানবাহন কম বের হচ্ছে। বাজারে ক্রেতা, সমাগমও কমছে।