কোনো অজুহাতেই নির্বাচন পেঁছানো যাবে না: ডা. জাহিদ 

একটি দল মুখে ইসলামের কথা বললেও বাস্তবে তাদের কথার মিল পাওয়া যায় না। তারা বিএনপির সমালোচনা করে। ১০০ বার তারা বিএনপির সমালোচনা করুক, আমাদের কোনো সমস্যা নেই, কিন্তু তা হতে হবে বাস্তবসম্মত। মুখে ইসলামের কথা বলবে, মানুষের পাশে থাকবে না, এটাতো হয় না।
 
দেশের জনগণের দাবি আগামি ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝি ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠানের। কিন্তু তারা দেশের মানুষের প্রত্যাশার বিরুদ্ধে গিয়ে নির্বাচন পেছাতে চায়। আগামী নির্বাচন সঠিক সময়েই হবে, কোনো অজুহাতেই নির্বাচন পেঁছানো যাবে না।
 
শনিবার (১৬ আগস্ট) দুপুরে মৌলভীবাজারের বড়লেখা উপজেলা বিএনপির দ্বি-বার্ষিক সম্মেলন ও কাউন্সিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে কেন্দ্রীয় বিএনপি নেতা ও বিএনপির চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার ব্যক্তিগত চিকিৎসক অধ্যাপক ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন এসব কথা বলেন।
 
তিনি ওই ইসলামী দলের সমালোচনা করে বলেন, বিএনপির সমালোচনা করার আগে নিজেদের চেহারা আয়নায় দেখুন। জনগণের কাছে আপনাদের ভিত্তি নেই, আপনারা ৮৬ সালেও জাতীর সাথে বেইমানি করেছেন। বিএনপি বহুদলীয় গণতন্ত্রে বিশ্বাসী ও বাস্তব রূপ দেওয়ার দল। বিএনপি দেশের সর্ববৃহৎ ও জনগণের দল।
বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান স্বাধীনতা ঘোষণা করে দেশ থেকে পালিয়ে যাননি, দেশে থেকে দেশ ও দেশের মানুষের জন্য যোদ্ধ করেছেন। আপোষহীন দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া দেশে প্রেসিডেন্ট পদ্ধতি বাতিল করে প্রধানমন্ত্রী শাসিত দেশ করেছিলেন, এমনকি স্বাধীন ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের জন্য তত্বাবধায়ক সরকার প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। 
 
উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক জয়নাল আবেদীনের সভাপতিত্বে ও জেলা বিএনপির সদস্য সচিব আব্দুর রহিম রিপনের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত দ্বি-বার্ষিক সম্মেলন ও কাউন্সিল অধিবেশনে প্রধান বক্তার বক্তব্য দেন বিএনপির সিলেট বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক জিকে গউছ।
 
বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন- বিএনপির সিলেট বিভাগের সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক মিফতা ছিদ্দীকি, কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য সাবেক সংসদ সদস্য এম নাসের রহমান, জেলা বিএনপির আহ্বায়ক সাবেক পৌর মেয়র ময়জুল করিম ময়ুন, জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক মিজানুর রহমান মিজান, নাসির উদ্দিন মিঠু, কাতার বিএনপির সাধারণ সম্পাদক শরীফুল হক সাজু প্রমুখ।
 
এর আগে জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলন ও পায়রা উড়িয়ে সন্মেলনের উদ্বোধন করেন অতিথিরা। বড়লেখা উপজেলা বিএনপির সম্মেলনে সভাপতি পদে বিনা প্রতিন্ধন্ধিতায় নির্বাচিত হন মো. আব্দুল হাফিজ ও সিনিয়র যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন জুয়েল আহমদ।