কিংবদন্তি সংগীতশিল্পী জুবিন গার্গের প্রতি সম্মান জানিয়ে তার জীবনী আসামের পাঠ্যপুস্তকে অন্তর্ভুক্তির সিদ্ধান্ত নিয়েছে আসাম বিদ্যালয় শিক্ষা পরিষদ। জুবিনের বাসভবন কাহিলিপাড়ায় এ ঘোষণা দেওয়া হয়।
ভারতীয় গণমাধ্য ইন্ডিয়া টুডের সূত্রে জানা যায়, জুবিন গার্গের জীবনী আধুনিক ভারতীয় ভাষা (এমআইএল) পাঠ্যক্রমে ১৪টি প্রধান ভারতীয় ভাষায় অন্তর্ভুক্ত করা হবে। এতে সারা দেশের শিক্ষার্থীরা তার জীবন, শিল্পীসত্তা ও মানবতার দর্শনের সঙ্গে পরিচিত হওয়ার সুযোগ পাবে।
এ সময় শ্রদ্ধা জানাতে গৌহাটি বিশ্ববিদ্যালয়ও তাদের সেন্টার ফর পারফরমিং আর্টস অ্যান্ড কালচার-এর নাম পরিবর্তন করে জুবিন গার্গের নামে রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
শুক্রবার (২৬ সেপ্টেম্বর) আনুষ্ঠানিকভাবে এ ঘোষণা দেওয়া হয়। এর অংশ হিসেবে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রবেশপথে তার একটি মূর্তি স্থাপন করা হবে এবং তার সংগীত জীবন ও সাফল্য নিয়ে একটি কফি টেবিল বই প্রকাশ করা হবে। পাশাপাশি বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তঃকলেজ যুব উৎসবে নতুন বিভাগ ‘জুবিনের গান’ চালু করা হবে।
জুবিন গার্গ শুক্রবার (১৯ সেপ্টেম্বর) সিঙ্গাপুরে মারা যান। নর্থ-ইস্ট ইন্ডিয়া ফেস্টিভ্যালে যোগ দিতে গিয়ে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। মঙ্গলবার (২৩ সেপ্টেম্বর) গুয়াহাটির কামারকুচি এনসি গ্রামে অনুষ্ঠিত হয় তার শেষকৃত্য।
এদিকে ১৯৭২ সালের ১৮ নভেম্বর জন্মগ্রহণ করেন জুবিন গার্গ। তিনি একাধারে ছিলেন গায়ক, সংগীত পরিচালক, সুরকার, গীতিকার, সংগীত প্রযোজক, অভিনেতা ও চলচ্চিত্র পরিচালক। ১৯৯২ সালে অনুষ্ঠিত যুব মহোৎসব পাশ্চাত্য একক পরিবেশনায় স্বর্ণপদক লাভ করার পর জুবিনের জীবন বদলে যায়।
১৯৯২ সালে অসমিয়া অ্যালবাম ‘অনামিকা’ মুক্তির মাধ্যমে জুবিন পেশাদার সংগীতজগতে প্রবেশ করেন। ২০০৬ সালে ‘গ্যাংস্টার’ সিনেমায় ‘ইয়া আলি’ গান গেয়ে তাক লাগিয়ে দেন জুবিন। তারপর বেশ কয়েকটি সুপারহিট গান উপহার দেন তিনি।