শীতের শুরুতেই হাঁচি-কাশি, নাক বন্ধ, গলা চুলকানি ও ত্বকের শুষ্কতার মতো এলার্জি সমস্যা বেড়ে যায়। আবহাওয়ার পরিবর্তন, ধুলাবালু, বাতাসের শুষ্কতা ও বন্ধ ঘর সব মিলিয়েই এ সময় অনেকের দেহে অস্বস্তি দেখা দেয়। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, কিছু সহজ অভ্যাস মেনে চললে মৌসুমি এই এলার্জি অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব।
শীতকালীন এলার্জি প্রতিরোধে গুরুত্বপূর্ণ পাঁচটি কার্যকর উপায় তুলে ধরা হলো-
১. ঘর রাখুন ধুলো-মুক্ত
শীতে জানালা-দরজা কম খোলা হয়, ফলে ঘরে ধুলো ও মাইট জমে থাকে। এটি এলার্জির সবচেয়ে বড় উদ্দীপক। তাই নিয়মিত ঝাড়ু-পোঁছা করা, বিছানার চাদর ও বালিশ-কভার সপ্তাহে অন্তত একবার ধোয়া এবং পর্দা পরিষ্কার রাখা জরুরি।
২. ঘরের আর্দ্রতা বজায় রাখুন
শীতের শুষ্ক বাতাস নাক ও গলার ভেতর শুষ্কতা তৈরি করে এলার্জি বাড়াতে পারে। হিউমিডিফায়ার ব্যবহার করলে ঘরের বাতাস আর্দ্র থাকে। চাইলে পানি ভরা পাত্র বা ভেজা কাপড় ব্যবহারেও আর্দ্রতা বৃদ্ধি সম্ভব।
৩. উষ্ণ খাবার ও পর্যাপ্ত পানি পান
গরম পানি, হারবাল চা, স্যুপ শরীর গরম রাখে এবং শ্বাসনালীকে আরাম দেয়। পাশাপাশি সারাদিন পর্যাপ্ত পানি পান করলে শরীরের প্রতিরোধক্ষমতা বাড়ে এবং এলার্জির তীব্রতা কমে।
৪. বাইরে গেলে নাক-মুখ ঢেকে রাখুন
ঠান্ডা বাতাস ও ধুলাবালু এলার্জির অন্যতম প্রধান কারণ। তাই বাইরে বের হওয়ার সময় মাস্ক বা স্কার্ফ দিয়ে নাক-মুখ ঢেকে রাখা উচিত। এতে ঠান্ডা বাতাস সরাসরি শ্বাসনালীতে প্রবেশ করতে পারে না।
৫. ঠান্ডা পানীয় এড়িয়ে চলুন
যাদের এলার্জি সমস্যা আছে, তাদের জন্য দুধজাত খাবার, ঠান্ডা পানীয় ও অতিরিক্ত তেল-মসলাযুক্ত ফাস্টফুড ক্ষতিকর হতে পারে। এগুলো অনেক সময় এলার্জি বাড়ায়। এর বদলে ভিটামিন-সি, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও জিঙ্কসমৃদ্ধ খাবার খাওয়া উপকারী।
শীতের সময় এলার্জি বাড়লেও সঠিক যত্ন ও সচেতনতা এলার্জির ঝুঁকি উল্লেখযোগ্যভাবে কমাতে পারে বলে জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।