যে কারণে অল্প বয়স্কদের শ্রবণশক্তি কমার ঝুঁকি বাড়ছে

সুস্থ জীবনযাপনের জন্য দৃষ্টিশক্তি ও মানসিক সুস্থতার পাশাপাশি সঠিক শ্রবণশক্তি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। অথচ বর্তমানে বয়স বাড়ার আগেই শ্রবণশক্তি হারাচ্ছেন অনেক তরুণ-তরুণী। অতিরিক্ত শব্দদূষণ, ইয়ারফোনে উচ্চ ভলিউমে গান শোনা এবং কানের যত্নে অবহেলার কারণেই এই সমস্যা বাড়ছে বলে মত চিকিৎসকদের।

বিশেষজ্ঞদের মতে, সঠিক খাদ্যাভ্যাস এবং জীবনযাপনে কিছু পরিবর্তন আনলেই শ্রবণশক্তি দীর্ঘ সময় ধরে বজায় রাখা সম্ভব।

শ্রবণশক্তি2

কান সুস্থ রাখতে যেসব খাবার জরুরি

মাছ ও ডিম

এতে থাকা ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড ও ভিটামিন বি১২ শ্রবণশক্তি বজায় রাখতে সহায়ক। প্রদাহ কমায় এবং শ্রবণযন্ত্রের কার্যকারিতা বাড়ায়।

শাক-সবজি

পালংশাকসহ বিভিন্ন শাকে রয়েছে ফোলেট ও ভিটামিন বি। যা কানের কোষ সুস্থ রাখতে ভূমিকা রাখে এবং বয়সজনিত বা শব্দজনিত শ্রবণহানির ঝুঁকি কমায়।

শ্রবণশক্তি৩

ফল

কলা ও কমলালেবুর মতো ফলে থাকে পটাশিয়াম, যা কানের ভেতরের তরলের ভারসাম্য রক্ষা করে, শ্রবণশক্তি বজায় রাখতে সাহায্য করে।

বাদাম ও বীজ

আখরোট, কাজু, কুমড়োর বীজে থাকা জিঙ্ক ও ম্যাগনেশিয়াম কানে শব্দজনিত ক্ষতির ঝুঁকি কমায়।

শ্রবণশক্তি

জীবনযাপনে সতর্কতা জরুরি

উচ্চ শব্দ পরিহার

নিয়মিত উচ্চ শব্দে থাকা, বিশেষত ইয়ারফোনে জোরে গান শোনা শ্রবণশক্তির জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর। কাজের প্রয়োজনে হেডফোন ব্যবহার করলেও নির্দিষ্ট সময় অন্তর বিরতি নেওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকরা।

কানের পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা

অতিরিক্ত মোম জমে গেলে শ্রবণশক্তি হ্রাস পেতে পারে। বাড়িতে তুলোছাড়া কিছু ব্যবহার না করে চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী পরিষ্কার করা উচিত।

1236

মাথায় আঘাত এড়ানো

কান বা মাথায় সরাসরি আঘাত শ্রবণযন্ত্রকে ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে। তাই সবসময় সচেতন থাকা জরুরি।

ওষুধ ব্যবহারে সতর্কতা

কিছু ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া কানের জন্য ক্ষতিকর (অটোটক্সিক)। যেকোনো ওষুধ গ্রহণের আগে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত।

বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, আধুনিক জীবনের নানা অভ্যাসেই কানের ওপর বাড়তি চাপ পড়ছে। সময় থাকতে সচেতন না হলে ভবিষ্যতে শ্রবণহানির মতো সমস্যায় পড়তে হবে অনেককেই। তাই খাদ্যাভ্যাস থেকে শুরু করে জীবনযাত্রায় ইতিবাচক পরিবর্তনই শ্রবণশক্তি রক্ষার মূল চাবিকাঠি।