ইন্টারভিউতে সফল হতে হলে আত্মউপস্থাপন, কথা বলার ভঙ্গি এবং অজানা বিষয়ে উত্তর দেওয়ার দক্ষতা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এসব একদিনে রপ্ত করা যায় না, নিয়মিত চর্চা প্রয়োজন। ভালো প্রস্তুতির জন্য যেসব বিষয়ের প্রতি খেয়াল রাখা জরুরি তা হলো- আত্মবিশ্বাস, পরিষ্কার ও প্রাসঙ্গিকভাবে কথা বলা, কোম্পানি ও পদের সম্পর্কে জ্ঞান রাখা এবং নিজের দুর্বলতাগুলো সততার সঙ্গে উপস্থাপন করা।
এক সেকেন্ড সময় নিন
তাড়াহুড়া করে উত্তর না দিয়ে প্রশ্ন শোনার পর ১-২ সেকেন্ড বিরতি নিন। এতে উত্তর আরও গোছানো ও কার্যকর হবে।
না জানলে স্বীকার করুন
প্রশ্ন বুঝতে না পারলে ভান না করে সৎ ভাবে স্বীকার করুন। সব কিছু জানা সম্ভব নয়- তাই অজানাকে শুদ্ধভাবে মেনে নেওয়াই বোঝায় সততা।
ক্যারিয়ারে বিরতি থাকলে লুকাবেন না
ক্যারিয়ারে বিরতি বা চাকরি পরিবর্তন স্বাভাবিক। এটি লুকানোর বা অতিরিক্ত ব্যাখ্যার দরকার নেই। কারণটি সংক্ষেপে ও সততার সঙ্গে বলুন। শান্তভাবে উপস্থাপন করলেই আপনার আত্মবিশ্বাস প্রকাশ পাবে।
খুব তাড়াতাড়ি বা দেরি করবেন না
খুব তাড়াতাড়ি ইন্টারভিউ স্থলে উপস্থিত হলে পরিস্থিতি অস্বস্তিকর হতে পারে। কিন্তু কয়েক মিনিট দেরি? সেটিও নিশ্চয়ই ভালো কিছু নয়। তাই ইন্টারভিউর জন্য দেওয়া নির্দিষ্ট সময়ের মোটামুটি মিনিট দশেক আগে পৌঁছানোর চেষ্টা করুন।
Interview2
রিসার্চ করুন
কোম্পানি কী করছে, কে নেতৃত্ব দিচ্ছে, তারা কীসের ওপর মনোযোগ দিচ্ছে - মূল বিষয়গুলো জানা থাকলে তা আপনার ধারণার চেয়েও বেশি সাহায্য করতে পারে। এতে প্রশ্নের জবাব দেওয়ার আপনার জন্য আরও বেশি সহজ হয়ে উঠবে। তাই ইন্টারভিউতে যাওয়ার আগে রিসার্চের দিকে খেয়াল রাখুন।
শারীরিক ভাষা
সামনাসামনি ইন্টারভিউ হোক কিংবা জুম মিটিং, আপনি কীভাবে বসছেন সেটাও কিন্তু গুরুত্বপূর্ণ। সোজা হয়ে বসুন। হাত লুকানোর প্রয়োজন নেই। স্বাভাবিক থাকুন। মাঝে মাঝে সরাসরি প্রশ্নকর্তার চোখের দিকে তাকান। মাথা উঁচু করে বসুন। মনে রাখবেন, আপনার যেমন চাকরি দরকার, চাকরিরও আপনাকে দরকার। কেউ আপনাকে দয়া করছে না বরং আপনি নিজের যোগ্যতার কারণে কাজটি পাচ্ছেন। তাই নিজেকে গুরুত্বহীন ভাবার প্রয়োজন নেই।