স্পেশাল ঈদযাত্রার শেষ দিনে শৃঙ্খলা বিঘ্নিত হয়েছে। ঠাসাঠাসি করে যাত্রী নিয়ে মঙ্গলবার (৯ এপ্রিল) সকাল থেকে ছাড়ছে ট্রেন। বিশেষ করে উত্তরবঙ্গের অনেক ট্রেনের ভেতরে, ছাদ ছিল যাত্রীবোঝাই।
কমলাপুর স্টেশনে লালমনিরহাটের বুড়িমারী এক্সপ্রেস, পঞ্চগড়গামী একতা এক্সপ্রেস, রংপুর এক্সপ্রেস, রাজশাহী ধুমকেতু এক্সপ্রেস ট্রেনে প্রচণ্ড ভিড় দেখা গেছে।
সকাল সোয়া ১০টায় একতা এক্সপ্রেস ট্রেন ছেড়ে যাওয়ার কথা। ১০টার দিকে ট্রেনটি প্ল্যাটফর্মে ঢোকার সঙ্গে সঙ্গেই লোকজন ট্রেনে ওঠার জন্য হুমড়ি খেয়ে পড়ে। আসন দখলে রাখতে জয়দেবপুর, টঙ্গী এবং বিমানবন্দর স্টেশন থেকেও অনেকে ট্রেনে বসে ছিলেন। যাত্রীদের চাপে মুহূর্তেই ট্রেনের দরজাগুলো বন্ধ হয়ে গেলে নারী-শিশুসহ অনেকে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে জানালা দিয়ে ভেতরে ঢোকেন।
নারায়ণগঞ্জের একটি কোম্পানিতে চাকরি করেন মো. রাসেল হক। পার্বতীপুর যাওয়ার জন্য একতা এক্সপ্রেস ট্রেনে উঠেছেন তিনি জানালা দিয়ে। ‘অনেক কষ্ট করে টিকেট পাইছি। আবার ট্রেনে উঠতে গিয়ে ব্যাপক ঝামেলা হইছে। দরজা দিয়ে ওঠার কোনো জায়গা ছিল না’।
একটি বেসরকারি নির্মাণ প্রতষ্ঠানের হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর আলম গণমাধ্যমকে বলেছেন, তিনি অনলাইনে টিকেট কেটে রেখেছিলেন। কিন্তু মঙ্গলবার ট্রেনে উঠতে বেশ বেগ পেতে হয়েছে। দাঁড়ানো যাত্রীদের কারণে আসন পাওয়া কঠিন হয়ে পড়েছে।
