ঢাকার বিলাসবহুল পাঁচ তারকা হোটেল থেকে শুরু করে ধানমন্ডি, গুলশান, বনানী, পুরান ঢাকার হোটেলগুলোতে সেহরির জন্যে ভিড় জমায় মানুষ। রমজানের শেষ সেহরি যেন রমজানের শেষ উৎসবে মেতেছেন রাজধানীবাসী। গত কয়েক বছর ধরে পবিত্র রমজানের ট্রেন্ড সেহরি পার্টি বেশ জনপ্রিয়। বিশেষ করে তরুণ সমাজে। পিছিয়ে নেই মধ্যবয়সীও। বন্ধু-বান্ধবের পাশাপাশি অনেকে সেহরি পার্টি করেন পরিবার-পরিজন নিয়েও।
বুধবার (১০ এপ্রিল) ভোরে বংশাল-আলাউদ্দিন রোড ঘুরে দেখা গেছে, সেহরির সময় নগরীর বিভিন্ন এলাকা থেকে এসে ভিড় জমিয়েছেন ভোজনরসিক মানুষ। সপরিবারে ও বন্ধু-বান্ধবসহ সেহরি পার্টির জন্য নগরীর মানুষের কাছে আদর্শ জায়গা পুরান ঢাকার রেস্টুরেন্ট।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আসাদ খান বলেন, প্রায়ই আমরা বন্ধুরা মিলে পুরান ঢাকার রেস্টুরেন্টে সেহরি পার্টি করি। আজ যেহেতু সেহরির শেষ দিন তাই আজও এসেছি। পুরান ঢাকায় সেহরি করাটা অন্যরকম এক আনন্দ।
পুরান ঢাকার বিসমিল্লাহ কাবাবে দায়িত্বরত মো. এহসান বলেন, আমাদের পুরান ঢাকার প্রায় সব হোটেলেই সেহরিতে ভিড় থাকে। রাত ১টা থেকে ভিড় বাড়তে থাকে। ২টার দিকে পুরো ভিড় জমে যায় রেস্টুরেন্টগুলোতে। কিছু কিছু রেস্টুরেন্টে সিরিয়ালও পড়ে যায়। এমনকি টেবিল দখলের জন্য হোটেলের ভেতরই লাইন দিতে হয় মানুষকে।
শুধু পুরান ঢাকাই নয়। সেহরি পার্টি জমজমাট ধানমন্ডি, গুলশান, বনানী এলাকায়ও। গাড়ি নিয়ে দিব্বি ছুটছেন এই অভিজাত এলাকার তরুণ তরুণীরা। দামি দামি সব রেস্টুরেন্টে তাদের পদচারণায় মুখরিত হয়েছে। রমজানের শেষ সেহরি উদ্যাপনে ব্যস্ত তারা। সরেজমিনে ধানমন্ডির বিভিন্ন রেস্টুরেন্ট ঘুরে দেখা যায়, তরুণ-তরুণীদের পদচারণায় মুখরিত রেস্টুরেন্টগুলো। শুধু তরুণ তরুণীই নয়, মধ্যবয়সী বহু মানুষ তাদের পরিবারের সদস্যদের নিয়ে বেরিয়েছেন সেহরি করতে।
ধানমন্ডি এলাকার বাসিন্দা নিলয় মাহামুদ বলেন, এবারের রমজানে প্রায় প্রতিদিনই পরিবার নিয়ে সেহরি করতে গিয়েছি। কখনো গুলশানের হারফি, কখনো বনানীর স্টেকআউট কখনো বা ধানমন্ডির শেফমেট লাউঞ্জে সেহরি করেছি। আজ বের হয়েছি স্টার কাবাবে সেহরি করব। শেষ সেহরি তাই পরিবার নিয়ে বের হয়েছি। সেহরিতে বাইরে বের হওয়া অন্যরকম এক আনন্দের, কেননা, সড়ক একদম ফাঁকা থাকে। যাতে করে ঘুরেও অনেক আনন্দ পাওয়া যায়।
