রাজধানীসহ সারা দেশে বইছে তীব্র তাপপ্রবাহ। প্রচণ্ড গরমে অস্বস্তিতে জনজীবন। কড়া রোদের তীব্রতায় পথঘাট সব কিছুই উত্তপ্ত। এমন গরমে নানা অসুখ-বিসুখসহ বাড়ছে হিটস্ট্রোকের মতো স্বাস্থ্যঝুঁকি। ইতোমধ্যে হিট অ্যালার্ট জারি করেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের চিফ হিট অফিসার বুশরা আফরিন বলেন, ‘এত গাছকাটা হয়েছে, এত সড়ক ও ভবন তৈরি করা হয়েছে, সবকিছু শেষ করে দেওয়া হয়েছে পরিবেশের। কাজেই এই সমস্যার সুরাহা রাতারাতি হবে না। তবে আমরা মানুষের মধ্যে সচেতনতা বাড়াতে পারি। আর অন্যান্য সংস্থার সঙ্গে সহযোগিতা করে যতটুকু সম্ভব সবুজ অবকাঠামো ও পানির সহজলভ্যতা নিশ্চিত করতে পারি।’
বুশরা আরও বলেন, এই অবস্থা থেকে সবাইকে বাঁচানোর জন্য তারা নিয়মিত ‘হিট অ্যাওয়ারনেস ক্যাম্পেইন’ চালাচ্ছেন। তার মতে, ঢাকা এবং আশপাশের এলাকায় তাপমাত্রা কমাতে আরও বেশি গাছ লাগানো জরুরি।
চিফ হিট অফিসার বলেন, আমাদের এখানে রাস্তার ধারে ২ লাখ গাছ লাগানোর পরিকল্পনা করা হয়। শুধু গাছ লাগালেই হবে না, সেগুলোর উপযুক্ত রক্ষণাবেক্ষণও করতে হবে। নগরে বনায়ন করা খুব জরুরি। এখানে যে ফাঁকা এবং পরিত্যক্ত জায়গাগুলো আগে সেখানে সবুজায়ন করার দিকেও আমরা নজর দিয়েছি। আমাদের এখানে আরও অনেক পার্ক এবং সবুজে ঘেরা জায়গা দরকার। তাতে তাপমাত্রা যেমন কমবে, তেমনই পাখিসহ নানা প্রাণীও ফিরে আসবে।
তিনি বলেন, ব্যক্তি উদ্যোগেও নগরবাসীকে পরিস্থিতি মোকাবিলার আহ্বান জানিয়েছেন চিফ হিট অফিসার বুশরা আরও বলেন, তীব্র দাবদাহে আমরা নিজেরা যদি সচেতন থাকি। আমরা যদি বাসা থেকে বের হওয়ার আগে আমাদের ব্যাগে একটা পানির বোতল, টুপি, ফ্যান, ছাতার মতো জিনিসপত্র সাথে রাখি তাহলে কিন্তু অনেকটাই নিরাপত্তা পেতে পারি।
বুশরা বলেন, ‘এটা একদিনে সমাধান করা সম্ভব না। অনেক বছর ধরেই এই দাবদাহ হচ্ছে। যেভাবে এই শহর গড়ে উঠেছে, তাতে আগে থেকেই এমন কিছু হওয়ার কথা ছিল। এমন কিছু হতোই। তবে মানুষ এখন এই তাপ নিয়ে ভাবছে, এটা ভালো দিক। এটা আমাদের একটা শিক্ষা দিয়েছে।’
