ঢাকা
সোমবার, ১৭ নভেম্বর ২০২৫, ২ অগ্রহায়ণ ১৪৩২
ই-পেপার

রাজধানীতে ‘ব্লক রেইড’, তৎপর আইনশৃঙ্খলা বাহিনী

আপডেট : ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৯:৫৭ এএম

রাজধানীতে জনগণের জানমালের নিরাপত্তা নিশ্চিতে নড়েচড়ে বসেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। গত দুই দিনে শহরজুড়ে বসানো হয়েছে প্রায় ৬৫টি চেকপোস্ট। অপরাধীদের ধরতে সেনাবাহিনী, পুলিশ, এবং অন্যান্য আইনপ্রয়োগকারী সংস্থার সহযোগিতায় যৌথ অভিযানে বিভিন্ন স্থানে শুরু হয়েছে ব্লক রেইড।

আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সূত্র জানায়, গত রোববার রাত ১২টা থেকে সোমবার রাত ১২টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় রাজধানীর ৫০টি থানা এলাকায় জননিরাপত্তা নিশ্চিতে ডিএমপির ৫০০টি টহল দল দায়িত্ব পালন করেছে। এসময় ২৪৮জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। টহল দলের পাশাপাশি মহানগরীর বিভিন্ন অপরাধপ্রবণ স্থানে সিটিটিসির সাতটি, অ্যান্টি টেররিজম ইউনিটের (এটিইউ) চারটি ও র‌্যাবের ১০টি টহল দল দায়িত্ব পালন করে।

এদিকে, ঢাকা মহানগর পুলিশের কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলী জানিয়েছেন, তারা ব্যাপক অভিযান শুরু করেছেন। চিহ্নিত সন্ত্রাসীদের তালিকা করে অভিযান পরিচালনা করছেন।

 

বুধবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) দিবাগত রাত পৌনে ১টার দিকে বিজয় সরণীতে ঢাকা মহানগরের বিশেষ অভিযান পরিদর্শনে এসে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে একথা বলেন তিনি।

শেখ মো. সাজ্জাত আলী বলেন, পরিস্থিতি গত দু–তিন দিন খারাপ হলেও আগে ভালো ছিল। অপরাধ যে কখনো ছিল না, বিষয়টি তা নয়। রাজধানীতে মোট ৬৫ তল্লাশিচৌকি বসানো হয়েছে। সবাইকে সম্মিলিত প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে।

রাজধানীতে অপরাধ নিয়ন্ত্রণে জনসাধারণের সহযোগিতা অপরিহার্য বলে উল্লেখ করে ডিএমপি কমিশনার বলেন, ঢাকা একটি ঘনবসতিপূর্ণ শহর, যেখানে সব জায়গায় পুলিশি টহল দেয়া সম্ভব নয়। তাই জনগণের সহযোগিতাই অপরাধ দমনের সবচেয়ে কার্যকর উপায়।

রাজধানীতে অপরাধ দমনে চিহ্নিত অপরাধীদের তালিকা করে তাদের গ্রেপ্তার করা হচ্ছে জানিয়ে ডিএমপি কমিশনার বলেন, অপরাধ দমনে কিছুদিন আগে থেকে অপারেশন ডেভিল হান্ট নামে বিশেষ অভিযান শুরু হয়েছে। এর আওতায় ইতোমধ্যে বিপুলসংখ্যক অপরাধীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। সম্প্রতি অপরাধ বেড়ে যাওয়ায় অপরাধীদের ধরতে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ, সেনাবাহিনীর এবং বিভিন্ন আইনপ্রয়োগকারী সংস্থার সহযোগিতায় যৌথ অভিযানে বিভিন্ন স্থানে ব্লক রেইড দেয়া হচ্ছে।

ছিনতাইকারী সন্দেহে গণপিটুনি দিয়ে আইন নিজের হাতে তুলে না নেয়ার আহ্বান জানান ডিএমপি কমিশনার। বলেন, রাজধানীর প্রতিটি এলাকায় আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী সক্রিয় রয়েছে। আপনারা আইন নিজের হাতে তুলে নেবেন না। তাই অপরাধী ধরলে পুলিশের হাতে সোপর্দ করুন।

জামিনে মুক্ত হয়ে আসা সন্ত্রাসীদের গতিবিধি সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, অনেকেই আগের দলের সঙ্গে যুক্ত হয়ে আবারও অপরাধে জড়াচ্ছে। তবে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী তাদের নজরদারিতে রেখেছে এবং দ্রুত আইনের আওতায় আনতে কাজ করছে।

SN
আরও পড়ুন