ঢাকা
সোমবার, ১৭ নভেম্বর ২০২৫, ২ অগ্রহায়ণ ১৪৩২
ই-পেপার

ক্ষয়ক্ষতি এড়ানোর সর্বাত্মক চেষ্টা করেছিলেন পাইলট: আইএসপিআর

আপডেট : ২১ জুলাই ২০২৫, ০৭:০৮ পিএম

বিমান বাহিনীর একটি যুদ্ধবিমান আকস্মিক বিধ্বস্তের ঘটনায় একটি বিবৃতি দিয়েছে আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর বা আইএসপিআর। সেখানে জানানো হয়েছে, বিমানটি ওড়ার পরপরই যান্ত্রিক ত্রুটি দেখা দেয়। পাইলটি সম্ভাব্য দুর্ঘটনা এবং বড় ধরনের ক্ষয়ক্ষতি এড়ানোর সর্বাত্মক চেষ্টা করেছিলেন। তবে দুর্ভাগ্যজনকভাবে এটি একটি স্কুলের ওপর পড়ে।

সোমবার (২১ জুলাই) বিকেলে আইএসপিআরের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর একটি এফটি-৭ বিজিআই যুদ্ধবিমান নিয়মিত প্রশিক্ষণের অংশ হিসেবে সোমবার বেলা ১টা ৬ মিনিটে ঢাকার কুর্মিটোলার বিমান বাহিনী ঘাঁটি এ কে খন্দকার থেকে উড্ডয়নের পর যান্ত্রিক ত্রুটির সম্মুখীন হয়। এ বিষয়ে তদন্তের পরে বিস্তারিত জানানো হবে।

আইএসপিআর বলছে, দুর্ঘটনা মোকাবেলায় এবং বড় ধরনের ক্ষয়ক্ষতি এড়াতে ওই বিমানের বৈমানিক ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট মো. তৌকির ইসলাম বিমানটিকে ঘনবসতি এলাকা থেকে জনবিরল এলাকায় নিয়ে যাবার সর্বাত্মক চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত বিমানটি ঢাকার দিয়াবাড়িতে মাইলস্টোন স্কুল এবং কলেজের দোতলা একটি ভবনে অনাকাঙ্ক্ষিত দুর্ঘটনায় বিধ্বস্ত হয়েছে। এই আকস্মিক দুর্ঘটনায় বৈমানিকসহ ১৯ জন নিহত এবং ১৬৪ জন আহত হয়েছেন।

ওই অনাকাঙ্ক্ষিত দুর্ঘটনায় বাংলাদেশ বিমান বাহিনী গভীরভাবে মর্মাহত এবং হতাহতদের সর্বাত্মক চিকিৎসাসহ সার্বিক সহযোগিতায় তৎপর রয়েছে।

সেনাবাহিনী, বিমানবাহিনী, পুলিশ, র‍্যাব এবং ফায়ার সার্ভিস দুর্ঘটনাস্থলে উদ্ধার তৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছে এবং পরিস্থিতি উত্তরণের সর্বাত্মক চেষ্টা করছে ।

দুর্ঘটনার কারণ উদঘাটনের জন্য ইতোমধ্যে বিমান বাহিনীর একটি উচ্চ পর্যায়ের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে বলে জানিয়েছে আইএসপিআর।

আরও পড়ুন