রাজধানী ঢাকায় ৮৫ শতাংশ পথশিশু মাদকাসক্ত বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ শিশু অধিকার ফোরাম। বৃহস্পতিবার (২৮ আগস্ট) রাজধানীর ধানমণ্ডিস্থ ঢাকা আহ্ছানিয়া মিশনের প্রধান কার্যালয়ে ‘পথশিশু ও কর্মজীবী শিশুদের সুরক্ষা’ শীর্ষক সেমিনারে এসব তথ্য জানানো হয়।
ফোরামের দেওয়া তথ্য মতে, দেশে পথশিশুর সংখ্যা ৩৪ লাখ। এদের অর্ধেকই অবস্থান করছে রাজধানী ঢাকায়। এরমধ্যে ৩৭ দশমিক ৮ শতাংশ পথশিশু দারিদ্র্যের কারণে, ১৫ দশমিক ৪ শতাংশ বাবা-মায়ের শহরে আসার কারণে এবং ১২ দশমিক এক শতাংশ কাজের সন্ধানে বাড়ি ছেড়েছে।
সেমিনারে ঢাকা আহ্ছানিয়া মিশনের প্রেসিডেন্ট প্রফেসর ড. গোলাম রহমানের সভাপতিত্বে বক্তৃতা করেন মহিলাবিষয়ক অধিদপ্তরের মহাপরিচালক কাজী গোলাম তৌসিফ, বাংলাদেশ পুলিশের ডিআইজি ড. এ কে এম ইকবাল হোসেন, ঢাকা আহ্ছানিয়া মিশনের ভাইস প্রেসিডেন্ট ডা. মোহাম্মদ খলিল উল্লাহ, সাধারণ সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার এ.এফ.এম গোলাম শরফুদ্দিন, নির্বাহী পরিচালক সাজেদুল কাইয়ুম দুলাল, মিশনের শিক্ষা ও টিভিইটি সেক্টরের যুগ্ম পরিচালক মো. মনিরুজ্জামান এবং কো-অর্ডিনেটর-মনিটরিং অ্যান্ড ইভ্যালুয়েশন শেখ শফিকুর রহমান।
সেমিনারে কাজী গোলাম তৌসিফ বলেন, ‘পথশিশুদের বাদ দিয়ে সামগ্রিক উন্নয়ন সম্ভব নয়। খানবাহাদুর আহ্ছানউল্লা প্রতিষ্ঠিত ঢাকা আহ্ছানিয়া মিশন সমাজে পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর জন্য বাল্যবিবাহ রোধ ও শিশু সুরক্ষাসহ বিভিন্ন কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে।এসডিজির লক্ষ্য অর্জনে পথশিশুদের সুরক্ষাও বিবেচনায় নিতে হবে।’
ডিআইজি ইকবাল হোসেন বলেন, ‘পথশিশুদের উন্নতির জন্য শক্তিশালী রাজনৈতিক প্রতিশ্রুতি থাকতে হবে। তা না হলে উন্নতি হবে না। বাংলাদেশের থানাগুলোতে চাইল্ড ফ্রেন্ডলি কোনো রুম নেই।
শতকরা ৮ শতাংশ নারী পুলিশ দিয়ে চাইল্ড প্রোটেকশন সম্ভব নয়। নারী পুলিশের সংখ্যা বাড়াতে হবে। হটলাইন সংখ্যা বাড়াতে হবে। সরকারি ও বেসরকারি সমন্বয়ে আন্তরিকতা ও সদিচ্ছা নিয়ে কাজ করতে হবে।’
প্রফেসর ড. গোলাম রহমান বলেন, ‘আহ্ছানিয়া মিশন খানবাহাদুর আহ্ছানউল্লা (র.)-এর আদর্শ নিয়ে কাজ করছে। রেলওয়ে স্টেশন থেকে শুরু করে রাজধানীর বিভিন্ন স্থান থেকে পথশিশুদের নিয়ে আমরা কাজ করছি। সবাই সম্মিলিতভাবে প্রচেষ্টা করবো যেন পথশিশু সমাজ থেকে নির্মূল করতে পারি।’
মোহাম্মদপুরে যৌথ অভিযানে গ্রেপ্তার ১১