গত ৩৬ ঘণ্টা ধরে নোয়াখালীর দ্বীপ উপজেলা হাতিয়া কুয়াশায় ঢাকা রয়েছে। বুধবার (২৭ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ৮টার দিকে কিছুটা সূর্যের দেখা মিললেও কুয়াশার কারণে তা স্পষ্ট ছিল না।
এর আগে মঙ্গলবার ( ২৬ ডিসেম্বর) দুপুরের দিকে সূর্যের কিছুটা দেখা গেলেও বিকেল থেকে কুয়াশায় আবৃত হতে থাকে উপকূলীয় এ অঞ্চলটি।

সকালে সরেজমিন বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, ঘন কুয়াশায় ঢেকে গেছে হাতিয়ার প্রকৃতি। সড়কের যানবাহনগুলো হেডলাইট জ্বালিয়ে চলাচল করতে দেখা গেছে। এছাড়া নৌযান চলাচলে সামান্য বিঘ্ন সৃষ্টি হচ্ছে।
সংবাদকর্মী সাখাওয়াত হোসেন জানান, সোমবার রাতে চেয়ারম্যান ঘাট থেকে নলচিরা ঘাটের উদ্দেশ্যে ছেড়ে আসা যাত্রীবাহী একটি ট্রলার ঘন কুয়াশায় দিক হারিয়ে কোনো এক অজানা চরে আটকা পড়ে। ট্রলারে তার ছেলেও ছিল। পরদিন (মঙ্গলবার) সকাল ৯টার দিকে ট্রলারটি হাতিয়ার ঘাটে এসে পৌঁছায়।
নলচিরা নৌ-ঘাটের স্পিড বোট লাইনম্যান ফারুক জানান, এই আবহাওয়াতে সমস্যা হচ্ছে না, সকাল থেকে স্পিড বোটগুলো যাতায়াত শুরু করেছে। তবে সংখ্যায় অনেক কম।

মাটিকাটা শ্রমিক আলাউদ্দিন জানান, কুয়াশার কারণে আশপাশের কাউকে দেখা যাচ্ছে না, তবে কাজ করতে অসুবিধা হচ্ছে না।
চট্টগ্রাম, পতেঙ্গা আবহাওয়া অধিদপ্তরের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৬টা থেকে বুধবার সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত এ অঞ্চলে ঘন কুয়াশা থেকে মাঝারি ধরনের কুয়াশা পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। রাতের তাপমাত্রা হ্রাস ও দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। এছাড়া পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় আবহাওযা সামান্য পরিবর্তন হতে পারে।
