মিয়ানমারের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বর্ডার গার্ড পুলিশের (বিজিপি) আরো শতাধিক সদস্য বাংলাদেশে নতুন করে অনুপ্রবেশের আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে সীমান্তে সতর্কাবস্থায় আছে বাংলাদেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)।
মিয়ানমারের সরকারি বাহিনী ও বিদ্রোহীদের মধ্যে চলমান সমরযুদ্ধে বিদ্রোহীদের সঙ্গে টিকতে না পেরে বাংলাদেশে আশ্রয় নিতে বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্তবর্তী শূন্যরেখার কাছে আশ্রয়ের অপেক্ষায় রয়েছেন তারা।
সীমান্তে বসবাসকারী বাসিন্দারা জানান, দীর্ঘদিন ধরে মিয়ানমারের অভ্যন্তরে দেশটির সরকারি জান্তা বাহিনী ও বিদ্রোহীদের মধ্যে ক্ষমতা দখলের লড়াই চলছে। এরই মধ্যে নাইক্ষ্যংছড়ির সীমান্তবর্তী মিয়ানমারের ঢেকুবনিয়া, রাইটক্যাম্পসহ বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ এলাকা দখলে নিয়েছে বিদ্রোহীরা। এখন আষাঢ়তলী জামছড়ি, পানছড়ি ও লেম্বুছড়ি সীমান্তবর্তী মিয়ানমারের রাশিদং অঞ্চলের অংথাব্রে ক্যাম্প দখলে নিতে দফায় দফায় যুদ্ধ চলছে। যুদ্ধে ব্যবহার করা মর্টারশেল ও গোলার বিকট শব্দে প্রায়ই কেঁপে উঠছে এপারের এলাকাগুলোও।
বিদ্রোহীদের সঙ্গে যুদ্ধে টিকতে না পেরে মিয়ানমারের বর্ডার গার্ড পুলিশের (বিজিপি) ২ নম্বর সেক্টরের প্রায় শতাধিক সদস্য জড়ো হয়েছেন জামছড়ি ও আষাঢ়তলী সীমান্তে। গত ১৭ মার্চ সন্ধ্যা থেকে গোলার শব্দ শোনা না গেলেও উপজেলার আষাঢ়তলী জামছড়ি, পানছড়ি ও লেম্বুছড়ি সীমান্ত এলাকায় টহল জোরদার করেছে বিজিবি।
নাইক্ষ্যংছড়ি সদর ইউপি চেয়ারম্যান নুরুল আবচার ইমন বুধবার খবর সংযোগ -কে জানান, গত ১১ মার্চ জামছড়ি সীমান্ত দিয়ে মিয়ানমার জান্তাবাহিনীর তিনজন কর্মকর্তাসহ ১৭৭ বিজিপি সদস্য বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছিল। তাদের নাইক্ষ্যংছড়ি বিজিবি ব্যাটালিয়ন সদরের বিজিবি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে আশ্রয় দেওয়া হয়েছে। ওইদিনই বিকালে মিয়ানমার থেকে ছোড়া গুলিতে ৮ নম্বর ওয়ার্ড সদস্য সাবের আহম্মেদ আহত হন।
স্থানীয়দের বরাতে তিনি আরো বলেন, গত কয়েকদিন ধরে জামছড়ি ও আষাঢ়তলী শূন্যরেখা এলাকায় তিন শতাধিক বিজিপি সদস্য বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়ার অপেক্ষায় আছে বলে জানিয়েছে সীমান্তবর্তী বাসিন্দারা।
বান্দরবানের জেলা প্রশাসক শাহ্ মোজাহিদ উদ্দিন জানান, বর্তমানে সীমান্ত পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। এছাড়া প্রশাসন ও বিজিবির পক্ষ থেকে পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে।
