ঢাকা
মঙ্গলবার, ১৮ নভেম্বর ২০২৫, ২ অগ্রহায়ণ ১৪৩২
ই-পেপার

পাহাড়ে আগাম জাতের বোরো ধান কাটার ধুম

আপডেট : ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ০৭:০৫ পিএম

প্রাকৃতিক দুর্যোগ ও পাহাড়ি ঢল থেকে ফসল রক্ষার জন্য শেরপুরের সীমান্তবর্তী পাহাড়ি এলাকাগুলোতে কৃষকরা এবার আগাম বোরো ধানের আবাদ করেছিলেন। এরই মধ্যে ধান কাটতে শুরু করেছেন কৃষকরা। কৃষি শ্রমিক সঙ্কট দূর করতে যান্ত্রিক উপায়ে ধান কাটার ওপর জোর দিচ্ছে কৃষি বিভাগ। তবে পাহাড়ি এলাকার ৮০ শতাংশ জমির ফসল এখনো কাঁচা ও আধাপাকা অবস্থায় থাকায় পাহাড়ি ঢল নিয়ে চিন্তিত কৃষকরা। এতে তাপপ্রবাহ উপেক্ষা করেই সোনালি ফসল ঘরে তুলতে মাঠে হাড়ভাঙা পরিশ্রম করছেন তারা।

জেলা কৃষি বিভাগের তথ্য মতে, চলতি মৌসুমে জেলায় ৯১ হাজার ৮৮৯ হেক্টর জমিতে বোরো ধানের আবাদ করা হয়েছে। আর জেলায় ৬ লাখ ৬৮ হাজার ৩৭২ মেট্রিক টন বোরো ধান উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ঠিক করা হয়েছে। পাহাড়ি কয়েকটি এলাকা ঘুরে আগাম ধান কাটার দৃশ্য দেখা যায়।

তিন আনির কৃষক হামিদুর রহমান বলেন, আমরা আগাম জাতের ধান লাগিয়েছি। কারণ আমাদের এদিকে বৃষ্টির পানি ও পাহাড়ি ঢল আসে। এ বছর এখনো পাহাড়ি ঢল না আসায় নিরাপদে ধান কাটতে পারছি। তবে ধান কাটা শুরু হলেও আগাম ধানের ফলন নিয়ে কৃষকদের অভিযোগ রয়েছে।

ঝিনাইগাতী উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. হুমায়ুন দিলদার জানান, ঝিনাইগাতী উপজেলায় প্রতিবছর পাহাড়ি ঢলের কারণে বোরো ধানের ব্যাপক ক্ষতি হয়। এবছর কৃষকরা আগাম ধান আবাদ করার কারণে খুব দ্রুত ধান ঘরে তুলতে পারছেন। শ্রমিক সঙ্কট দূর করতে যান্ত্রিক হারভেস্টিং মেশিনের সাহায্যে দ্রুত ধান কাটার জন্যও কৃষকদের বলা হচ্ছে। সারা দেশে কম্বাইন হারভেস্টার বিতরণের সুফল আমরা পাচ্ছি। একই সময়ে ধান পাকার কারণে সেই ধান মেশিনের সাহায্যে দ্রুত কাটা হচ্ছে। এতে সময় ও অর্থ বাচঁবে কৃষকের।

তিনি আরো বলেন, কৃষকরা যাতে তাদের ধান ঘরে তুলতে পারে এজন্য পরামর্শ দেয়া হচ্ছে। তাই কৃষকরাও আর ঘরে বসে নেই।

NC/WA
আরও পড়ুন