ঢাকা
মঙ্গলবার, ১৮ নভেম্বর ২০২৫, ২ অগ্রহায়ণ ১৪৩২
ই-পেপার

নামাজের আগে মন্ত্রী বললেন, ‘আ. লীগ নেতা-কর্মীদের গালি দেবেন না’

আপডেট : ১৮ মে ২০২৪, ১২:৪৬ এএম

আসন্ন দ্বিতীয় ধাপের উপজেলা নির্বাচনে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবায় চেয়ারম্যান পদে দুই প্রার্থীই আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হকের ঘনিষ্ঠ। একজন তাঁর ফুফাত ভাই, আরেকজন সাবেক এপিএস। দুজনই স্থানীয় আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। তাই দলীয় নেতাকর্মীরাও হয়ে পড়েছে বিভক্ত। তবে নিজের উপজেলা পরিষদের নির্বাচন নিয়ে আইনমন্ত্রী নিজের অবস্থান আবারও পরিষ্কার করেছেন।

শুক্রবার (১৭ মে) কসবা মডেল মসজিদে জুমআর নামাজ আদায় করেন আইনমন্ত্রী। নামাজের আগে মন্ত্রী দলীয় নেতাকর্মী ও মুসল্লিদের উদ্দেশে উপজেলা নির্বাচন নিয়ে কথা বলেন। স্পষ্ট জানিয়ে দেন নিজের নিরপেক্ষ অবস্থানের কথা।

নামাজের আগে মসজিদে দাঁড়িয়ে আইনমন্ত্রী বলেন, কিছু কথা আমি পরিষ্কারভাবে জানিয়ে দিতে চাই। আজকে ১৭ তারিখ। এরপর ১৮, ১৯, ২০। তারপর ২১তারিখ। কসবায় উপজেলা চেয়ারম্যান নির্বাচন। অনেকে আমাকে জিজ্ঞাসা করেছেন আমি কোন পক্ষে, আপনার ইঙ্গিত কোন দিকে। আজকে এই জুমার দিনে দাঁড়িয়ে আপনাদের বলতে চাই, আমি সবসময় আপনাদের অভিভাবক। আমি সবসময় আপনাদের সন্তান। আমি সবসময় আপনাদের। আমি সকল প্রশাসনের ব্যক্তিত্বকে অনুরোধ করেছি নির্বাচন যেন সুষ্ঠু হয়। নির্বাচন কমিশনের দায়িত্বে যারা আছে, তাঁরা আমাকে আশ্বস্থ করেছেন নির্বাচন সুষ্ঠু হবে। আমি আপনাদের কাছে এইটুকু অনুরোধ করবো, যারা নির্বাচন সুষ্ঠু করার জন্যে দায়িত্ব পালন করছে আপনারা তাঁদের সহযোগিতা করবেন। আমার ইঙ্গিত আমার জনগণের সঙ্গে। জনগণ যাকে পছন্দ করবে যাকে ভোট দিয়ে সুষ্ঠুভাবে নির্বাচিত করবে, সে-ই আমার। যে হেরে যাবে সেও আমার। যে প্রার্থী দু-জন আছে তাঁরা দুজনই আমার নিকটের। আপনারা আপনাদের পছন্দমতো ভোট দেবেন। আমার পছন্দে নয়। আপনাদের রায় আমার কাছে শিরোধার্য।

আনিসুল হক বলেন, আমি শুধু একটাই অনুরোধ করব– যারা নির্বাচন করছেন দুজনই আওয়ামী লীগের। আমার আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের গালি দেবেন না। নির্বাচন শেষ হয়ে যাবে, তারপরই কিন্তু সকলে সকলের ভাই।

AS
আরও পড়ুন