বঙ্গোপসাগরে বাংলাদেশের জলসীমায় মাছ আহরণে ৬৫ দিনের নিষেধাজ্ঞা রোববার (১৯ মে) মধ্যরাত থেকে শুরু হবে। এই নিষেধাজ্ঞা কার্যকরে উপকূলের মৎস্য মোকামগুলোতে চলছে ব্যাপক প্রস্তুতি।
মৎস্য অধিদপ্তর সূত্র জানায়, মে-জুন মাস হচ্ছে সাগরে বিভিন্ন প্রজাতির মাছের প্রজনন মৌসুম। প্রজনন নিরাপদ ও প্রজননের পর রেণু মাছের বেড়ে ওঠা নিশ্চিত করতে প্রতিবছর ২০ মে থেকে ২৩ জুন পর্যন্ত ৬৫ দিন গভীর সমুদ্রে মাছ আহরণে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়।
যদিও মৎস্যজীবীদের দাবি, এ সুযোগে ভারতীয় ট্রলারগুলো বাংলাদেশের জলসীমায় ঢুকে মাছ আহরণ করে। তারা ভারত ও বাংলাদেশে একই সময়ে নিষেধাজ্ঞা দেওয়ার দাবি করে আসছেন নিষেধাজ্ঞার কারণে সাগরে থাকা বেশির ভাগ ট্রলার শনিবার বিকেল থেকে ফিরতে শুরু করেছে জানিয়ে ভোলার চরফ্যাশন সাম্রাজ মাছঘাটের ব্যবসায়ী মো. আলাউদ্দিন। তার মতে এই সময় ভারতীয় ট্রলার ঢুকে অনায়াসে ভারতীয় জেলেরা মাছ ধরে নিয়ে যায় আর তখন বাংলাদেশের কোস্টগার্ড কোন ব্যবস্থাই নেয় না।
চরফ্যাশন মৎস্যজীবী ও ট্রলার মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. আলাউদ্দিন পাটোয়ারী বলেন, আমরা সঠিকভাবেই সরকারের দেয়া নিষেধাজ্ঞা পালন করলেও ভারতের নিষেধাজ্ঞা না থাকায় ঐ জেলেরা মাছ ধরে নিয়ে যায়। জেলায় অন্তত ৬৯হাজার সমুদ্রগামী জেলে রয়েছে। যারা ৪ হাজার ৯৩৯টি ট্রলার করে সমুদ্রে গিয়ে মাছ ধরে থাকে। অপরদিকে ভারতের নিষেধাজ্ঞা ১৫এপ্রিল থেকে শুরু।
সাগরে ৬৫ দিনের নিষেধাজ্ঞা কার্যকরে টাস্কফোর্স কমিটির সভায় নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। এ সময়ের জন্য নিবন্ধিত প্রতিটি জেলে পরিবারকে ৫৬ কেজি করে চাল দেওয়া হবে।
