কক্সবাজারের টেকনাফে ‘জিম্মি করে মুক্তিপণ আদায়ের’ সময় নারী ও শিশুসহ ৩০ রোহিঙ্গাকে উদ্ধার করা হয়েছে। মালয়েশিয়া পাচারের জন্য তাদের জিম্মি করা হয়েছিল। শনিবার (১৪ ডিসেম্বর) বিকেলে তাদের উদ্ধার করা হয়।
এসব রোহিঙ্গরা উখিয়া ও টেকনাফের বিভিন্ন রোহিঙ্গা আশ্রয়শিবিরে বাসিন্দা। টেকনাফ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন ।
থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জানিয়েছেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে শনিবার বিকেলে টেকনাফ উপজেলার সদর ইউনিয়নের দক্ষিণ লম্বরীপাড়ার বাসিন্দা সাইফুল ইসলামের বসতঘরে অভিযান চালানো হয়। তবে পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে পাচারকারী চক্রের সদস্যরা পালিয়ে যাওয়ায় কাউকে আটক করা সম্ভব হয়নি। উদ্ধার করা রোহিঙ্গাদের বিষয়ে রোহিঙ্গা শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনারকে অবহিত করা হয়েছে। তার সিদ্ধান্ত পাওয়া গেলে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। বর্তমানে তারা পুলিশি হেফাজতে রয়েছে।
উদ্ধার রোহিঙ্গাদের বরাত দিয়ে মুহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন জানান, অভিযোগ রয়েছে, দালাল চক্রের লোকজন ভাল চাকরি ও বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে মালয়েশিয়া পাচারের উদ্দ্যেশে তাদের জড়ো করেছিল। পরে তাদের জিম্মি করে মুক্তিপণ আদায় করা হচ্ছিল।
থাইল্যান্ডে ৭০ রোহিঙ্গা অভিবাসনপ্রত্যাশী গ্রেপ্তার