ঢাকা
মঙ্গলবার, ১৮ নভেম্বর ২০২৫, ৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩২
ই-পেপার

নারায়ণগঞ্জে শামীম ওসমানের পৈত্রিক বাড়িতে হামলা-ভাঙচুর-আগুন 

আপডেট : ০৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৯:৩১ এএম

নারায়ণগঞ্জ শহরের চাষাড়ায় অবস্থিত সাবেক সংসদ সদস্য শামীম ওসমানের পৈত্রিক বাড়ি বাইতুল আমান ভাঙচুর করে আগুন দিয়েছে বিক্ষুব্ধ জনতা। এসময় বুলডোজার দিয়ে দু’তলা বিশিষ্ট ভবনটিকে  বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে সাতটার দিকে কয়েশ মানুষ জড়ো হয়ে ভাঙচুর শুরু করে। এসময় ভেকু দিয়ে দু’তলা বিশিষ্ট ভবনটিকে ভাঙা শুরু করে। এর আগে শহরের বিবি রোডে মিছিল বের করে বিএনপির নেতাকর্মীরা। মিছিলটি চাষাড়া চত্বর পার হয়ে বাইতুল আমানের সামনে গেলে বিক্ষুব্ধ জনতার সঙ্গে মিলিত হয়। 

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, রাত সাতটায় প্রথমে কয়েকজন যুবক ভবনের ভেতরে গিয়ে বারান্দায় উঠে ঘুরাঘুরি করতে থাকে। পরে কয়েকশ মানুষ জড়ো হলে ভাঙচুর শুরু হয়। এক পর্যায়ে সেখানে বুলডোজার ভবনের পূর্বপাশ দিয়ে ভাঙ্গতে শুরু করে৷ পরে মুল ফটক ভেঙ্গে বুলডোজার ভিতরে ঢুকে ভবন ভাঙচুর করে। এসময় দ্বিতলার বারান্দায় থাকা যুবকরা আগুন ধরিয়ে দেয়। বিক্ষুব্ধ জনতা এ সময় আওয়ামীলীগ, শেখ হাসিনা ও শামীম ওসমানের বিরুদ্ধে নানা শ্লোগান দেন। এ সময় ভবনের চারিপাশে ও আশপাশের ভবনগুলোতে দাড়িয়ে শত শত লোকজন দেখেন।

মহানগর বিএনপির মিছিলে অংশ নেওয়া সদস্য সচিব আবু আল ইউসুফ খান টিপু জানান, স্বৈরাচার  শেখ হাসিনার বক্তব্যের প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল বের করা হয়। মিছিল শুরু আগেই বিক্ষুব্ধ জনতা বাইতুম আমানের সামনে গিয়ে জড়ো হয়ে ভাঙা শুরু করে। এখানে কোন দল নয় সর্ব সাধারণ ওই বাড়ি ভেঙেছে।  কারণ শামীম ওসমানদের অত্যাচারে অতিষ্ঠ নগরবাসী। 

বাড়িটি ভাংচুরের সময় যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায় জানিয়ে সদর থানার ওসি নজরুল ইসলাম বলেন, পুলিশ যানবাহন চলাচলে কাজ করছে। অনেক মানুষ বাড়িটির সামনে সামাল দিতে কিছুটা সময় লাগছে। 

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, শামীম ওসমানের দাদা খান সাহেব ওসমান আলী ভবনটির মালিক। বায়তুল আমান নামের এই বাড়িতে ১৯৫২ সালে ২৯ ফেব্রুয়ারী ভাষা আন্দোলনের বৈঠক হয়েছে। মুক্তিযুদ্ধসহ রাজনৈতিকসহ নানা কারণে বায়তুল আমান আলোচিত ছিল। খান সাহেব ওসমান আলীর ছেলে শামসুজ্জোহা ছিলেন আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাকালীন সদস্য। তার তিন সন্তান সাবেক সংসদ সদস্য নাসিম ওসমান, সেলিম ওসমান ও শামীম ওসমানরা এক সময় এই বাড়িতে থাকতেন।  তবে নব্বই দশক থেকে ওই বাড়িতে কেউ না থাকলেও ওসমান পরিবারের যাতায়াত ছিলো। 

এর আগে নারায়ণগঞ্জে জেলা প্রশাসক, জেলা পুলিশ এবং জেলা আদালতের সামনে থাকা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের তিনটি ম্যুরাল ভাঙচুর করেছেন বিএনপিপন্থী আইনজীবী ও স্থানীয় জনতা৷ বৃহস্পতিবার দুপুরে আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি অ্যাডভোকেট সাখাওয়াত হোসেন খানের নেতৃত্বে আইনজীবী ও স্থানীয়রা হাতুরী, সাবল নিয়ে ম্যুরাল ভাঙচুর করে৷ এসময় আওয়ামীলীগ ও শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে নানা শ্লোগান দেন তারা। পরে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে থাকা বঙ্গবন্ধু কর্ণারেও ভাংচুর চালানে হয়।

আরও পড়ুন