১৯৯৯ সালের ৬ মার্চ বাংলাদেশের সাংস্কৃতিক আন্দোলনের ইতিহাসে এক অন্ধকারাচ্ছন্ন দিন। এ দিন যশোর টাউন হল মাঠে উদীচী শিল্পীগোষ্ঠীর দ্বাদশ জাতীয় সম্মেলনে শক্তিশালী দুটি বোমা হামলা চালানো হয়। এতে শিল্পীসহ ১০ জন নিহত এবং আড়াই শতাধিক মানুষ আহত হন।
এ ঘটনায় করা মামলায় অভিযোগপত্রভুক্ত আসামিরা খালাস পেয়ে যান। এরপর আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে মামলাটি পুনরুজ্জীবিত করা হলেও ১৫ বছর ধরে বিচার ঝুলে আছে। আজও শনাক্ত করা হয়নি কাউকেই।
জানা গেছে, উদীচীর সম্মেলনে বোমা হামলার ঘটনায় পৃথক দুটি মামলা হয়। প্রথমে যশোরের কোতোয়ালি পুলিশ মামলার তদন্ত শুরু করে। পরে তা পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগে (সিআইডি) ন্যস্ত করা হয়। তদন্ত শেষে ওই বছরের ১৪ ডিসেম্বর বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা সাবেক মন্ত্রী তরিকুল ইসলামসহ ২৪ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট দেয় সিআইডি। পরে অভিযোগ গঠনের সময় হাইকোর্টে আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে তরিকুল ইসলামকে মামলা থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়। চাঞ্চল্যকর এ মামলা আদালতে গড়ানোর ৭ বছর পর ২০০৬ সালের ৩০ মে সব আসামি খালাস দিয়ে মামলার রায় হয়।
যশোর জেলা ও দায়রা জজ আদালতের সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) সৈয়দ সাবেরুল হক সাবু বলেন, রাজনৈতিক প্রতিহিংসার বশবর্তী হয়ে তৎকালীন সরকার সাবেক মন্ত্রী তরিকুল ইসলামকে উদীচী হত্যা মামলায় জড়িয়েছিল। অথচ তরিকুল ইসলামই সেই সময় সর্বাগ্রে ছুটে আসেন। তৎকালীন সরকারের রাজনৈতিক হস্তক্ষেপে মামলার সুষ্ঠু বিচার হয়নি। তবে তিনি দায়িত্ব গ্রহণের পর উদীচী মামলাসংক্রান্ত কোনো শুনানি বা কার্যক্রম হয়নি।
