কুমিল্লার মুরাদনগরের কড়ইবাড়ি গ্রামে একই পরিবারের তিন সদস্যকে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় জড়িত সন্দেহে আরও ছয়জনকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। শনিবার (৬ জুলাই) রাজধানীর কারওয়ান বাজারে র্যাব-১১ এর মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান সংস্থাটির অধিনায়ক লে. কর্নেল এইচ এম সাজ্জাদ হোসেন।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- বায়েজ মাস্টার, ইউপি সদস্য বাচ্চু মিয়া, রবিউল আউয়াল, আতিকুর রহমান, দুলাল ও আকাশ। শুক্রবার রাতে রাজধানীর বনশ্রী ও কুমিল্লা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। এর আগে আরও দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। ফলে এ ঘটনায় মোট আটজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
র্যাব জানায়, পুরো ঘটনাটি শুরু হয় ১ জুলাই, যখন বোরহান নামে এক তরুণ একটি মোবাইল চুরির অভিযোগে ধরা পড়েন ও মারধরের শিকার হন। ছেলেকে বাঁচাতে তার বাবা জসীম আশপাশের পরিচিতদের সহায়তা চান। বিষয়টি নিয়ে সালিস হলেও তা কোনো সমাধান ছাড়াই শেষ হয় এবং এরপর থেকেই নিখোঁজ হন বোরহান। তাঁর বাবা ধারণা করেন, ছেলেকে হত্যা করে লাশ গুম করা হয়েছে।
এ অভিযোগের জেরে ৩ জুলাই সকালে ইউপি সদস্য বাচ্চু মিয়া ও চেয়ারম্যান শিমুল বিল্লালসহ শতাধিক লোক একত্রিত হয়ে বোরহানের বাবার সহায়তাকারী পরিবার- রোকসানা আক্তার রুবি, তার মেয়ে জোনাকি ও ছেলে রাসেল মিয়ার ওপর হামলা চালায়। এতে তিনজনই নিহত হন, আহত হন আরও দুই মেয়ে।
র্যাব জানিয়েছে, হত্যাকাণ্ড পূর্বপরিকল্পিত। এর আগের দিন স্থানীয়ভাবে একটি বৈঠকে এই হামলার পরিকল্পনা করা হয়। নিহত রাসেলকে সেদিন রাতেই ফোনে হুমকি দেওয়া হয়।
ঘটনার পর নিহত রুবির মেয়ে রিক্তা আক্তার বাদী হয়ে ৩৮ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা করেন। অভিযানে এ পর্যন্ত আটজন গ্রেপ্তার হলেও বোরহান এখনো নিখোঁজ।
র্যাবের পক্ষ থেকে জানানো হয়, এ ঘটনায় কোনো রাজনৈতিক সংশ্লিষ্টতা নেই এবং নিরপরাধ কাউকে হয়রানি করা হচ্ছে না।