ঢাকা
সোমবার, ১৭ নভেম্বর ২০২৫, ২ অগ্রহায়ণ ১৪৩২
ই-পেপার

নবজাতক কন্যাশিশুকে পানিতে ফেলে হত্যা, আটক মা

আপডেট : ২১ অক্টোবর ২০২৫, ০১:১৭ পিএম

পরপর ২ মেয়ের পর আবারো মেয়ে জন্ম নেওয়ায় ৫ দিনের কন্যাশিশুকে হত্যার ঘটনা ঘটেছে সাতক্ষীরার কলারোয়ায়। শারমিন (৩২) নামের অভিযুক্ত ওই মাকে আটক করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় বাড়ির পাশে খালের কচুরিপানার মধ্যে থেকে মৃত অবস্থায় শিশুটিকে উদ্ধার করা হয়েছে।

সোমবার (২০ অক্টোবর) রাত পৌনে ১২টার দিকে উপজেলার কাজিরহাট হাইস্কুলের পাশে রঘুনাথপুর গ্রামে ওই ঘটনা ঘটে।

মঙ্গলবার (২১ অক্টোবর) সকালে কলারোয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শেখ সাইফুল ইসলাম জানান, গতকাল রাত ৮টার দিকে শিশুটির বাবা ইব্রাহিম খলিল (৪২) থানায় এসে একটি নিখোঁজ ডায়েরি করতে এসে বলেন, তার কন্যাশিশুকে নিয়ে মা শারমিন বিকেলে ঘুমিয়ে ছিল। ঘন্টাখানিক পরে দেখেন শিশুটি নেই।

ওসি সাইফুল আরও জানান, বাবা খলিলের কথা অসংলগ্ন ও সন্দেহজনক মনে হওয়ায় আমরা ঘটনাস্থালে গিয়ে শিশুর মা শারমিনের সাথে কথা বলি ও জিজ্ঞাসাবাদ করি। একপর্যায়ে তিনি স্বীকার করেন, তাদের ৫ বছর ও দেড় বছর বয়সী দুই কন্যাশিশু আছে। পরপর দুই কন্যার পর আবারো মেয়ে হওয়ায় পার্শ্ববর্তী খালে ছুড়ে ফেলে দিয়েছেন তিনি। তার স্বীকারোক্তি অনুযায়ী, খালের কচুরিপানার মধ্যে থেকে রাত পৌনে ১২টার দিকে শিশুটিকে উদ্ধার করা হয়। হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। মৃত শিশুর ডিএনএ টেস্টের জন্য পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় শিশুর দাদি খাদিজা খাতুন বাদী হয়ে মামলা করেছেন। শিশুর মা শারমিনকে আটক করে সাতক্ষীরা আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।

এ সময় সাতক্ষীরার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মিঠুন সরকারসহ পুলিশ, ডিবি, পিবিআই ও স্থানীয় বহু মানুষ উপস্থিত ছিলেন।

ঘটনাস্থল রঘুনাথপুর গ্রামের বাসিন্দা উপজেলার হেলাতলা ইউনিয়ন বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক সরদার মুনসুর আলী জানান, ৫ দিন আগে কলারোয়ায় সিজারিয়ান অপারেশনের মাধ্যমে কন্যাশিশুটির জন্ম হয়। গতকাল বিকালে থেকে সেই শিশুটিকে পাওয়া যাচ্ছিলো না বলে শিশুর মা-বাবা বলছিল। তবে তাদের আচরণ ছিল সন্দেহজনক। সন্ধ্যা রাতে থানা পুলিশ, ডিবি, পিবিআই এসে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদ করে পাশের খালের কচুরিপানা বা শ্যাওলার মধ্যে থেকে মৃত অবস্থায় কন্যাশিশুকে উদ্ধার করা হয়।

তিনি আরও জানান, শিশুর পিতা ইব্রাহিম খলিলের আদি বাড়ি শ্যামনগরে। তিনি রঘুনাথপুরে ঘরজামাই থাকতেন।

NJ
আরও পড়ুন