ঢাকা
সোমবার, ১৭ নভেম্বর ২০২৫, ২ অগ্রহায়ণ ১৪৩২
ই-পেপার

ভোলায় বিএনপি-বিজেপি সংঘর্ষ, আহত অর্ধশতাধিক

আপডেট : ০১ নভেম্বর ২০২৫, ০৫:০৯ পিএম
ভোলায় বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) ও বাংলাদেশ জাতীয় পার্টির (বিজেপি) নেতাকর্মীদের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও ইটপাটকেল নিক্ষেপের ঘটনায় পুলিশ, সাংবাদিকসহ দুইদলের অর্ধশতাধিক নেতাকর্মী আহত হয়েছেন।
 
শনিবার (১ নভেম্বর) বেলা সাড়ে ১২টার দিকেশহরের নতুন বাজার বিজেপির জেলা কার্যালয়ের সামনে এ ঘটনা ঘটে।
 
 
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, জেলা বিজেপি কার্যালয়ের সামনে নেতাকর্মীরা দলটির চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার আন্দালিব রহমান পার্থর গরুর গাড়ি মার্কার নির্বাচনি প্রচারণা শুরু করেন। কার্যালয়ের সামনে এক সভার আয়োজন করে তারা এ প্রচারণা শুরু করেন। একপর্যায়ে সাড়ে ১২টার দিকে বিএনপির নেতাকর্মীরা তাদের কার্যালয়ের সামনে গিয়ে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে। এ সময় বিজেপি নেতাকর্মী, সাংবাদিক ও পুলিশসহ অন্তত ২০ জন আহত হয়েছেন। বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।
 
ঘটনার পর বিকেলে জেলা বিএনপি কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে দলটির নেতারা অভিযোগ করেন, বিএনপির পূর্বঘোষিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে শান্তিপূর্ণ মিছিল চলাকালে বিজেপি নেতাকর্মীরা পূর্বপরিকল্পিতভাবে হামলা চালায়।
 
এ সময় জেলা বিএনপির সদস্য সচিব রাইসুল আলম বলেন, বিএনপির শান্তিপূর্ণ মিছিলে হঠাৎই বিজেপির নেতাকর্মীরা ককটেল বোমা ও ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে। এতে বেশ কয়েকজন নেতাকর্মী আহত হন। সংঘর্ষ এড়াতে আমি নিজেই দায়িত্ব নিয়ে সবাইকে সরিয়ে আনি।
 
 
তিনি দাবি করেন, বিএনপি সবসময় শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে বিশ্বাসী। কিন্তু সরকারপন্থী একটি মহল পরিস্থিতি অস্থিতিশীল করতে ষড়যন্ত্র করছে।
 
অন্যদিকে, জেলা বিজেপির নেতারা পাল্টা অভিযোগ তুলে বলেন, তাদের শান্তিপূর্ণ আলোচনা সভায় বিএনপি নেতাকর্মীরা অতর্কিত হামলা চালায়, বোমা ফাটিয়ে আতঙ্ক সৃষ্টি করে এবং কার্যালয়ে ভাঙচুর চালায়। এ ঘটনায় তাদেরও কয়েকজন কর্মী আহত হয়েছেন এবং শিগগিরই তারাও সংবাদ সম্মেলন করে নিজেদের অবস্থান তুলে ধরবেন।
 
বিজেপি নেতাদের অভিযোগ, আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে বিএনপি-বিজেপির ঐক্য নষ্ট করতে বিএনপির কিছু অতিউৎসাহী নেতাকর্মী ন্যাক্কারজনক হামলা চালিয়েছে।
 
 
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বিএনপির একদল নেতাকর্মী দৌড়ে এসে বিজেপি কার্যালয়ের সামনে অবস্থানরত কর্মীদের ওপর ইটপাটকেল ছোঁড়ে ও ভাঙচুর চালায়। পরে বিএনপির সিনিয়র নেতারা ঘটনাস্থলে এসে ক্ষুব্ধ নেতাকর্মীদের শান্ত করে সরিয়ে নেন।
 
এদিকে, সংঘর্ষের পর পুরো শহরে থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ, নৌবাহিনী, কোস্টগার্ড ও ডিবি পুলিশের অতিরিক্ত টিম মোতায়েন করা হয়েছে।
 
আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর এক কর্মকর্তা জানান, পরিস্থিতি এখন নিয়ন্ত্রণে আছে, তবে যেকোনো অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে।
NJ
আরও পড়ুন