দেশে ইউরিয়া সারের ঘাটতি পূরণ, বৈদেশিক মুদ্রা সাশ্রয় এবং উপকূলে নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টির জন্য ভোলায় সার কারখানা নির্মাণের উদ্যোগ নিয়েছে সরকার।
শুক্রবার (১৪ নভেম্বর) ভোলায় সরকারি সফরে যান বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান, শিল্প, গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান এবং বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা শেখ বশির উদ্দীন। তারা ভেদুরিয়া ফেরিঘাট এলাকা, বাফার গোডাউন, বিসিক শিল্পনগরী এবং শাহবাজপুর গ্যাসক্ষেত্র পরিদর্শন করেন এবং স্থানীয় প্রশাসন ও পেশাজীবীদের সঙ্গে মতবিনিময় সভা করেন।
উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান বলেন, ‘ভোলায় প্রচুর গ্যাস পাওয়া যাচ্ছে। গ্যাস ব্যবহার করে দেশের কাজে লাগানো এবং সার উৎপাদনের সম্ভাবনা যাচাই করছি।’
বর্তমান অর্থ বছরে দেশে ইউরিয়ার চাহিদা ২৭ লাখ মেট্রিক টন। উৎপাদন হয়েছে ১১.২৩ লাখ টন এবং আমদানি হয়েছে প্রায় ১৬ লাখ টন। ভোলা জেলার গ্যাস ফিল্ডে ২.২৪ ট্রিলিয়ন কিউবিক ফিট মজুদ রয়েছে।
প্রস্তাবিত কারখানার বার্ষিক উৎপাদন ক্ষমতা ৫.৬১ মেট্রিক টন। নির্মাণের জন্য প্রয়োজন ৩০০ একর জমি। প্রাথমিক ব্যয় ধরা হয়েছে ১৬ হাজার কোটি টাকা। কারখানা চালু হলে প্রতি বছর আমদানি খরচ ২,৭৫০ কোটি টাকার পরিবর্তে স্থানীয় উৎপাদনে খরচ হবে ১,৮০০ কোটি টাকা, যা দেশের বৈদেশিক মুদ্রা সাশ্রয় করবে।
কারখানা নির্মাণ ২০২৭ সালের ডিসেম্বর থেকে শুরু হয়ে ২০৩০ সালের ডিসেম্বর শেষ হওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে।
উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান বলেন, ‘ভোলার গ্যাস ব্যবহার করে এখানে শিল্প কারখানা, বেসরকারি শিল্প এবং অর্থনৈতিক অঞ্চল গড়ে তোলা হবে।’
বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা শেখ বশির উদ্দীন জানান, ‘শিল্পের জন্য কেবল গ্যাসই নয়, বাজার, কাঁচামাল ও শ্রমিকের প্রয়োজন। ভোলায় বিনিয়োগের যথেষ্ট সুযোগ রয়েছে।’
এক লাখ ৭০ হাজার মেট্রিক টন সার আমদানির অনুমোদন
হাতিয়ায় বিপুল পরিমাণ সার পাচারকালে আটক ৯