ঢাকা
সোমবার, ১৭ নভেম্বর ২০২৫, ২ অগ্রহায়ণ ১৪৩২
ই-পেপার

গ্রামের বাড়িতে আসা যাওয়া ছিল না পিএসসির কর্মচারী সাজেদুলের

আপডেট : ১৪ জুলাই ২০২৪, ০৩:৫৭ পিএম

পিএসসির প্রশ্ন ফাঁসের মামলায় গ্রেপ্তার হওয়া সাজেদুল ইসলামের গ্রামের বাড়ি নোয়াখালীর সুবর্নচর উপজেলার চরবাটা ইউনিয়নের মধ্যম চরবাটা গ্রামে।

সম্প্রতি রেলওয়ের একটি নিয়োগ পরীক্ষায় প্রশ্নপত্র ফাঁসের ঘটনায় গ্রেপ্তার ১৭জনের মধ্যে একজন বাংলাদেশ সরকারি কর্মকমিশনের (পিএসসি) অফিস সহায়ক সাজেদুল ইসলাম। এলাকায় তেমন একটা আসা যাওয়া ছিল না সাজেদুলের। একারণে এলাকার লোকজন তাকে তেমন চিনেনও না।

মাধ্যম চরবাটা গ্রামে গিয়ে দেখা যায়, তোতার বাজার হাবিবীয়া রাস্তার পাশে সীমানা প্রাচীর দিয়ে ঘেরা একটি বাড়ি। প্রাচীরের এখনও কোন পলেস্তারা করা হয়নি। তবে বাড়িতে পিতার রেখে যাওয়া একটি পুরোনো টিনের ঘর ছাড়া তেমন একটা কিছুই নেই।

মাধ্যম চরবাটা গ্রামের বাসিন্দা কামাল বলেন, সাজেদুল পরিবার নিয়ে সবসময় ঢাকায় থাকেন। মাঝে মধ্যে গ্রামের বাড়িতে আসতেন। তার নামে গ্রামে তেমন একটা জায়গা জমি নেই। সাজেদুল বাবা মারা গেছেন প্রায় ৫ বছর আগে। তিনি একটি সরকারি অফিসের পরিবহনপুলের গাড়ি চালক ছিলেন। তবে কোন অফিসের চাকুরি করতেন, তিনি তা জানতেন না।

জানা যায়, সাজেদুলের বাড়িতে তারা ছাড়াও ৬/৭টি পরিবার থাকেন। সাজেদুলের পুরোনো টিনশেডের ঘরে তার মামাতো ভাইয়ের পরিবার থাকে। সাজেদুলের বাড়ির ৫০০গজ দুরে রবির দোকানের পাশে এক একর জায়গাতে বাড়ি করার জন্য জমি ভরাট করেন। ওই জায়গায় এবছর রমজান মাসের পর চারপাশের সীমানা প্রাচীরের কাজ শুরু করেন।

তার নতুন বাড়িতে গিয়ে দেখা যায়, বাড়ির উত্তর পাশের সীমানা প্রাচীরের কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে। বাড়ির সামনে স্তূপ করে রাখা হয়েছে ইট-বালি। সীমানা প্রাচীরের দক্ষিণ পাশে অবস্থিত একটি নুরানী মাদ্রাসা। এজায়গাটি তার মায়ের নামে কেনা। এছাড়াও তার মায়ের নামে চার একর জায়গা ক্রয় করেছেন তার পিতা।

নুরানী মাদ্রাসা প্রধান গিয়াস উদ্দিন বলেন, তিনি শুনেছেন মাদ্রাসার পাশের জায়গার মালিক ঢাকায় কোন মন্ত্রণালয়ে চাকরি করেন। এ জায়গার মালিক চাকরির নিয়োগ পরীক্ষায় প্রশ্নপত্র ফাঁসের ঘটনায় পুলিশের হাতে তিনি গ্রেপ্তার হয়েছেন বলে গত মঙ্গলবার শুনেছি।

সাজেদুলের প্রতিবেশী ইয়াসিন বলেন, সাজেদুলদের পুরোনো বাড়ি সেটি মূলত তার নানার বাড়ি। শ্বশুরের কাছ থেকে সাজেদুলের বাবা শামছুল আলম এই জায়গা ক্রয় করেন। পরে সেখানে বসতি গড়েছিলেন। সাজেদুলরা ২ ভাই ও ২ বোন। সাজেদুল ১৫ বছর ধরে সরকারি চাকরি করেন।

চরবাটা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আমিনুল ইসলাম বলেন, গ্রেপ্তার সাজেদুল ইসলামকে তিনি চিনতেন না। প্রশ্ন ফাঁসের ঘটনায় গ্রেপ্তারের পর বিভিন্ন মিডিয়ার খবরের মাধ্যমে জানতে পারেন সাজেদুলের গ্রামের বাড়ি চরবাটা ইউনিয়নে।

তিনি আরও বলেন, খবর নিয়ে জানতে পারি সাজেদুলের পরিবারের লোকজন সবাই ঢাকায় বসবাস করেন।

AHA/WA
আরও পড়ুন