ঢাকা
সোমবার, ১৭ নভেম্বর ২০২৫, ২ অগ্রহায়ণ ১৪৩২
ই-পেপার

বাংলাদেশি ৪ জেলেকে ধরে নিয়ে গেল আরাকান আর্মি

‘জনপ্রতিনিধি ও স্থানীয়দের কাছ থেকে জেলেদের ধরে নিয়ে যাওয়ার বিষয়টি জানতে পেরেছি। বিজিবি ও সংশ্লিষ্ট বাহিনী উদ্ধার কার্যক্রম চালাচ্ছে।’

আপডেট : ১১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৪:১৮ পিএম

মিয়ানমারের বিদ্রোহী গোষ্ঠী সশস্ত্র গোষ্ঠী আরাকান আর্মি কক্সবাজারের টেকনাফে নাফ নদীর মোহনায় মাছ ধরতে যাওয়া ৪ জেলেকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে ট্রলারসহ ধরে নিয়ে গেছে। 

মঙ্গলবার (১১ ফেব্রুয়ারি) বেলা ১১টায় শাহপরীর দ্বীপের গোলারচর মুখ এলাকা থেকে তাদের ধরে নিয়ে যায় বলে জানা গেছে।

জিম্মি হওয়া জেলেরা হলেন- টেকনাফ শাহপরীর দ্বীপ দক্ষিণপাড়ার বাসিন্দা নৌকার মাঝি মো. হাছান (৩০), আবদু রকিম (২০), মো. জাবের (২৬), মো. হাছান (১৬)।

ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন টেকনাফ শাহপরীর দ্বীপের দক্ষিণ নৌঘাটের সভাপতি বশির আহমেদ বলেন, ‘সকালে প্রতিদিনের মতো নাফ নদে মাছ শিকারে গেলে মিয়ানমারের আরাকান আর্মি ট্রলারসহ তাদের ধরে নিয়ে যায়। এ ঘটনায় জেলেপল্লিতে বিরাজ করছে। ঘটনাটি বিজিবিসহ স্থানীয় প্রশাসনকে অবহিত করা হয়েছে।’

লেফটেন্যান্ট সারতাজ বিন সোহরাব বলেন, ‘সকালে টেকনাফের শাহপরীরদ্বীপ দক্ষিণ পাড়ার বাসিন্দা মো. হাসান চার জেলেকে নিয়ে ট্রলারসহ নাফ নদীতে মাছ ধরতে যান। এক পর্যায়ে মিয়ানমার দিক থেকে একটি স্পিডবোট যোগে আসা সশস্ত্র ব্যক্তিরা ট্রলারটি ঘিরে ফেলে। পরে জেলেসহ ট্রলারটি মিয়ানমার অভ্যন্তরে নিয়ে যায়।’

তিনি জানান, ঘটনার বিষয়ে কোস্টগার্ডের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ, বিজিবি ও প্রশাসনকে অবহিত করা হয়েছে। অপহৃতদের উদ্ধারে কোস্টগার্ড তৎপরতা চালাচ্ছে এবং নাফ নদীতে নজরদারি বৃদ্ধি করা হয়েছে।

টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শেখ এহসান উদ্দিন বলেন, ‘জনপ্রতিনিধি ও স্থানীয়দের কাছ থেকে জেলেদের ধরে নিয়ে যাওয়ার বিষয়টি জানতে পেরেছি। বিজিবি ও সংশ্লিষ্ট বাহিনী উদ্ধার কার্যক্রম চালাচ্ছে।’
 
তিনি আরও বলেন, ‘মিয়ানমারের অভ্যন্তরে সংঘাতের কারণে অধিকাংশ এলাকা আরাকান আর্মির দখলে রয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, তারাই এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত।’
 
বিজিবি ও কোস্টগার্ড সীমান্তে নিরাপত্তা ও নজরদারি বাড়িয়েছে বলে ইউএনও নিশ্চিত করেছেন।

গত বছর ২০২৪ সালের ৬ অক্টোবর সকালে টেকনাফের শাহপরীর দ্বীপ জেটিঘাট থেকে ৬টি মাছ ধরার ট্রলারসহ ৫৮ জেলে গভীর সাগরে মাছ ধরতে যায়। তাদের ৯ অক্টোবর অপহরণ করে সে দেশের নৌবাহিনী। এ সময় মিয়ানমার নৌবাহিনীর টহলরত একটি স্পিডবোট থেকে বাংলাদেশি একটি ট্রলারকে লক্ষ্য করে গুলি চালানো হয়। তাতে তিৃন জেলে গুলিবিদ্ধ হন। গুলিবিদ্ধ অবস্থায় একজন ঘটনাস্থলে মারা যান। পরে জেলেদের ফেরত দেওয়া হয়।

 

MN
আরও পড়ুন