পার্বত্য শান্তিচুক্তি বাস্তবায়নের তাগিদ দিয়ে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার প্রতিনিধিরা বলেছেন, দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব নিশ্চিতের স্বার্থেই যথাযথভাবে শান্তিচুক্তি বাস্তবায়ন জরুরি। অন্যথায় পাহাড়ে শান্তি- স্থিতিশীলতা আশা করা যায় না! খবর সংবাদ বিজ্ঞপ্তি’র।
বৃহস্পতিবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) সকালে শান্তিচুক্তি বাস্তবায়নে সপক্ষে চট্টগ্রাম মহানগরীতে গণসংযোগ ও প্রচারপত্র বিতরণ কর্মসূচি পালনকালে তারা এসব কথা বলেন।
এ কর্মসূচি চেরাগী পাহাড় থেকে শুরু হয়ে আন্দরকিল্লা মোড় ঘুরে লালদীঘী হয়ে শহীদ মিনারে এসে শেষ হয়। পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি বাস্তবায়ন আন্দোলন নামে একটি সংগঠন এই অনুষ্ঠানের আয়োজক।
এ কর্মসূচিতে সিপিবি সভাপতি শাহ আলম বলেন, ‘শান্তিচুক্তি অনুযায়ী পার্বত্য চট্টগ্রাম ভূমি কমিশন কার্যকর না হওয়ার ফলে পাহাড়ে ভূমি সমস্যা বেড়েই চলেছে।’
দেশে সার্বভৌমত্ব সমুন্নত রাখতে হলে পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি বাস্তবায়ন জরুরি' বলে তিনি উল্লেখ করেন।

বাংলাদেশ জাসদ এর সাধারণ সম্পাদক নাজমুল হক প্রধান বলেন, ‘আমরা চাইনা পার্বত্য চট্টগ্রামে আবার শান্তিবাহিনী সৃষ্টি হোক, শান্তি বাহিনী তাদের অধিকারের জন্য অস্ত্র ধরুক। অন্তবর্তী সরকারের কাছে অনুরোধ এই চুক্তি যথাযথ ও পূর্ণাঙ্গ বাস্তবায়ন করে তাদের অধিকার নিশ্চিত করুন।’
বাসদ- এর সাধারণ সম্পাদক বজলুল রশিদ ফিরোজ বলেন, ‘বৈষম্য বিরোধী চেতনাকে ধারণ করে অর্ন্তবর্তীকালীন সরকারকে শান্তিচুক্তি বাস্তবায়নের বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে হবে। সংবিধানে পাহাড় ও সমতলের আদিবাসীদের অধিকারে কথা তুলে ধরতে হবে।’
পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি বাস্তবায়ন আন্দোলনের যুগ্ম সমন্বয়ক জাকির হোসেন বলেন, ‘এই দেশে যেমনি বাঙালিদের তেমনি পাহাড়ে বসবাসরত আদিবাসীদেরও অধিকার রয়েছে।’
'বাংলাদেশে বৈষম্য দূরীকরণে পাহাড়ের মানুষদের পাশ কাটিয়ে দেশকে শান্ত রাখা যাবে না' বলে তিনি উল্লেখ করেন।
সিপিবির চট্টগ্রাম জেলার সভাপতি অশোক সাহা বলেন, ‘পাহাড় ও সমতলের আদিবাসী এবং বাঙালি সবাইকে মিলে অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ গড়তে চাই। আসুন ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ধারণ করে পাহাড়ি-বাঙালির মাঝে সুদৃঢ় বন্ধন সৃষ্টি করে অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ গড়ে তুলি।’
গণসংযোগ ও প্রচারপত্র বিতরণ কর্মসূচিতে আরও উপস্থিত ছিলেন মানবাধিকার নেতা তাপস হোড়, বাসদ-এর আল কাদেরি জয়, ঐক্য ন্যাপ-এর অজিত দাশ ও পাহাড়ী ভট্টাচার্য, ন্যাপ নেতা মিঠুন দাশগুপ্ত, সম্মিলিত সামাজিক আন্দোলনের সুভাষ আইচ, আদিবাসী ফোরামের নেতা শরৎ জ্যোতি চাকমা, বাংলাদেশ জাসদ নেতা ইন্দু নন্দন দত্ত, পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি বাস্তবায়ন আন্দোলনের অধ্যাপক খায়রুল ইসলাম চৌধুরী, দীপায়ন খীসাসহ ছাত্র ইউনিয়ন, ছাত্র ফ্রন্ট, পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ, পাহাড়ি শ্রমিক কল্যাণ ফোরাম, যুব ইউনিয়নসহ বিভিন্ন সংগঠনের নেতারা।
