উত্তরের হিমেল বাতাস ও ঘন কুয়াশার প্রভাবে গাজীপুরে শীতের তীব্রতা বেড়েছে। সোমবার (২২ ডিসেম্বর) ভোর থেকে জেলার বিভিন্ন এলাকায় ঘন কুয়াশায় ঢেকে যায় সড়ক-মহাসড়ক ও গ্রামাঞ্চল। কুয়াশার কারণে সকালে দৃশ্যমানতা কমে যাওয়ায় যানবাহন চলাচলে ধীরগতি লক্ষ্য করা গেছে।
আবহাওয়া অফিস সূত্রে জানা গেছে, জেলার ওপর দিয়ে শীতল ও শুষ্ক বাতাস বয়ে যাওয়ায় তাপমাত্রা কমতির দিকে রয়েছে। সামনের কয়েক দিন শীতের অনুভূতি আরও বাড়তে পারে। ভোরে ঘন কুয়াশা থাকলেও বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে তা কিছুটা কেটে যেতে পারে।
ঘন কুয়াশা ও হিমেল হাওয়ায় জেলার সবচেয়ে বেশি ভোগান্তিতে পড়েছেন খেটে খাওয়া ও নিম্ন আয়ের মানুষ। শীত থেকে বাঁচতে অনেককে গরম কাপড় গায়ে জড়িয়ে রাস্তার পাশে খড়কুটো ও কাগজ জ্বালিয়ে আগুন পোহাতে দেখা গেছে। সূর্যের দেখা না পাওয়া পর্যন্ত অনেক মানুষ ঘর থেকে বের হতে অনীহা প্রকাশ করছেন।
কাপাসিয়ার রিকশাচালক ইসমাইল হোসেন বলেন, ‘শীত অনেক বেশি, কিন্তু পরিবার চালাতে বের হতেই হয়। কাজ না করলে খাবার জোটে না।’
ইজিবাইক চালক ইমরান জানান, ভোরে কুয়াশার কারণে সামনে কিছুই দেখা যায় না। হেডলাইট জ্বালিয়েই খুব সাবধানে গাড়ি চালাতে হচ্ছে।
রিকশাচালক আল আমিন জানান, শীত ও ঘন কুয়াশার কারণে সকালে কাজে বের হতে দেরি হয়। এতে সারাদিনে তার আয় সীমিত হয়ে পড়ে পাঁচ থেকে সাতশ টাকায়, যা দিয়ে কোনোরকমে সংসার চালাতে হয়।
আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, আকাশে মেঘাচ্ছন্ন অবস্থা ও হিমেল হাওয়া অব্যাহত থাকতে পারে। এ অবস্থায় শীতজনিত রোগ থেকে বাঁচতে গরম কাপড় ব্যবহারের পাশাপাশি প্রয়োজন ছাড়া ভোরে বাইরে না বের হওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
রিভার এন্ড নেচার ফাউন্ডেশন-এর চেয়ারম্যান খোরশেদ আলম বলেন, ‘শীতের এই তীব্রতায় সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে রয়েছে শিশু, বয়স্ক ও নিম্ন আয়ের মানুষ। ঘন কুয়াশা ও হিমেল বাতাসের কারণে শীতজনিত রোগ বাড়ার আশঙ্কা রয়েছে। এ সময়ে সমাজের সামর্থ্যবানদের এগিয়ে এসে অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়ানো জরুরি। পাশাপাশি পরিবেশ রক্ষায় খড়কুটো ও প্লাস্টিক পোড়ানো থেকে বিরত থেকে নিরাপদ ও পরিবেশবান্ধব উপায়ে শীত নিবারণের বিষয়ে সবাইকে সচেতন হতে হবে।’
আরিচা-কাজিরহাট নৌপথে আটকে আছে ফেরি
শরীয়তপুর-চাঁদপুর নৌরুটে ফেরি চলাচল বন্ধ