ঢাকা
মঙ্গলবার, ১৮ নভেম্বর ২০২৫, ৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩২
ই-পেপার

অবশেষে উদ্ধার হলো ‘দেড় লাখ টাকায় বিক্রি’ হওয়া সেই শিশু

আপডেট : ১২ মে ২০২৫, ০৬:৪৯ পিএম

জোর করে মায়ের কোল থেকে তুলে নিয়ে দেড় লাখ টাকায় বিক্রি করে দেওয়া আট মাস বয়সী শিশু তানহা আক্তারকে উদ্ধার করেছে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব)।

সোমবার (১২ মে) বিষয়টি নিশ্চিত করেন ফরিদপুর র‌্যাব ক্যাম্পের সহকারী পরিচালক (মিডিয়া) শামীম হাসান সরদার।

এরআগে, রোববার (১১ মে) সন্ধ্যায় ফরিদপুর শহরের নতুন বাসস্ট্যান্ড এলাকায় অভিযান চালিয়ে শিশুটিকে উদ্ধার করা হয়। 

র‌্যাব জানায়, উদ্ধার অভিযানের পর শিশুটিকে ফরিদপুর জেলার নগরকান্দা থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। এ ঘটনায় আদালতে মামলাও হয়েছে। আজ (সোমবার) বিকেলে ফরিদপুর নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে শিশুটির অভিভাবকত্ব নির্ধারণে শুনানি অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে।

শিশুর মা পপি বেগম কাঁদতে কাঁদতে আদালত প্রাঙ্গণে সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমি আমার বাচ্চাকে ফিরে পেতে চাই। যারা আমার মেয়েকে বিক্রি করেছে, তাদের বিচার চাই। আমার কাছে সন্তানের সব কাগজপত্র আছে। একজন মা সন্তানের জন্যই লড়াই করে। আমি আমার ন্যায্য অধিকার ফিরে চাই।’

পপির অভিযোগ, গোপালগঞ্জের মুকসুদপুর উপজেলার বোয়ালিয়া গ্রামের বাসিন্দা তিনি। প্রায় তিন বছর আগে ফরিদপুরের নগরকান্দা উপজেলার রামপাশা গ্রামের কাইয়ুম বিশ্বাসের সঙ্গে তার বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকেই দাম্পত্য কলহ চলতে থাকে। এর মধ্যেই জন্ম হয় কন্যাশিশু তানহার। কিন্তু সুখ বেশি দিন স্থায়ী হয়নি। প্রায় পাঁচ মাস আগে মৌখিকভাবে তাকে তালাক দেন কাইয়ুম এবং সেই সময় জোরপূর্বক শিশুকন্যাকে রেখে দেন।

পপি আরও জানান, পরে তিনি জানতে পারেন তার সন্তানকে দেড় লাখ টাকায় বিক্রি করে দেওয়া হয়েছে একই উপজেলার শাখরাইল গ্রামের কুবাদ শেখের মেয়ে কোহিনুর বেগমের কাছে। এ বিক্রির মধ্যস্থতা করেন স্থানীয় দলিল লেখক আলমগীর তালুকদার। সন্তানকে ফেরত চাইতে গেলে তারা তা প্রত্যাখ্যান করেন। বাধ্য হয়ে আদালতের দ্বারস্থ হন পপি।

নগরকান্দা থানার উপপরিদর্শক (এসআই) ইরানুল ইসলাম বলেন, র‌্যাবের সহযোগিতায় শিশুটিকে উদ্ধার করে আদালতে পাঠানো হয়েছে।

এ ঘটনায় স্থানীয় সমাজে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। শিশু পাচার ও অবৈধ দত্তক বাণিজ্য নিয়ে নতুন করে উদ্বেগ দেখা দিয়েছে। এ ঘটনায় জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছে এলাকাবাসী ও মানবাধিকার কর্মীরা।

 

Raj/FJ
আরও পড়ুন