মাকে ‘মৃত’ দেখিয়ে জমি দখলের চেষ্টা, কৃষকলীগ নেতা কারাগারে

আপডেট : ১৪ মে ২০২৫, ১১:৪৩ এএম

ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গায় জমি দখল ও জালিয়াতির মামলায় ইউনিয়ন কৃষকলীগের সাধারণ সম্পাদক ইব্রাহিম হোসেনকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। অভিযুক্ত ইব্রাহিম উপজেলার গোপালপুর ইউনিয়ন পরিষদের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের (ইউপি) সদস্য এবং ইউনিয়ন কৃষকলীগের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন।

বুধবার (১৪ মে) সকালে আসামি ইব্রাহিম হোসেনকে কারাগারে পাঠানোর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন এপিপি (সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটর) দুলারি আক্তার।

এর আগে, সোমবার (১২ মে) ফরিদপুর চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের ৯ নম্বর আমলি আদালতের বিচারক শাওন আহমেদ এ আদেশ দেন।

একই মামলায় আরও অভিযুক্ত উপজেলা কৃষকলীগের সদস্য সচিব খান আমিরুল ইসলাম, জব্বার শেখ, ইয়ার আলী, আঁখি আক্তার ও সোহাগি বেগম- তাদের মধ্যে চারজনকে ২৮ দিনের অন্তর্বর্তীকালীন জামিন দেওয়া হয়।

মামলার এজাহার অনুযায়ী, আয়েশা বেগমের পাঁচ ছেলের মধ্যে তিনজন জীবিত এবং দুইজন মৃত- আলমগির ও অলিয়ার। আলমগীর ২০০৩ সালের ৬ সেপ্টেম্বর ১৭ বছর বয়সে অবিবাহিত অবস্থায় মারা যান। এরপর ২০১৪ সালে তার বাবা আব্দুর রহমান মোল্যা মৃত্যুবরণ করেন। মামলা নম্বর: আলফাডাঙ্গা সি.আর.-১৮/২৫। বাদী—৬২ বছর বয়সী আয়েশা বেগম।

অভিযোগে বলা হয়, ২০২৪ সালের ২৩ মে আলফাডাঙ্গা সাব-রেজিস্ট্রার অফিসে ৮০৯/২৪ নম্বরের একটি জাল দলিল তৈরি করা হয়। দলিলে দাতা হিসেবে দেখানো হয় মৃত আলমগীরের সাজানো স্ত্রী সোহাগী বেগম এবং মেয়ে হিসেবে আঁখি আক্তারকে। অথচ আখির জন্ম ২০০৫ সালের ১০ সেপ্টেম্বর, অর্থাৎ আলমগীরের মৃত্যুর দুই বছর পর।

এই জাল দলিলের সহায়তায় আয়েশা বেগমকে (যিনি জীবিত) 'মৃত' দেখিয়ে একটি ভুয়া ওয়ারিশ সনদ তৈরি করা হয়। ওয়ারিশ সনদে ইউপি সদস্য ইব্রাহিম হোসেন শনাক্তকারী হিসেবে স্বাক্ষর করেন।

২০২৫ সালের ৯ জানুয়ারি (বৃহস্পতিবার) আয়েশা বেগমের পাড়াগ্রাম মৌজার বি.এস. খতিয়ান ২৩৫,  ৩৭১নম্বর দাগে জমিতে দখল নিতে গেলে অভিযুক্ত ইব্রাহিম ও তার সহযোগীরা উপস্থিত হন। বাধা দিলে ইব্রাহিম দাবি করেন- তিনি জমি ক্রয় করেছেন। এ ঘটনায় আদালত ফরিদপুর পিবিআই-কে তদন্তের নির্দেশ দেন। তদন্ত কর্মকর্তা এসআই ওয়াহিদুজ্জামান অভিযোগের সত্যতা নিশ্চিত করে আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করেন।

স্থানীয়রা জানান, ইউপি সদস্য ইব্রাহিম হোসেন বিভিন্ন অপকর্মের মাধ্যমে এর আগেও একাধিকবার বিতর্কে জড়িয়েছেন।

SN
আরও পড়ুন