ঢাকা
মঙ্গলবার, ১৮ নভেম্বর ২০২৫, ২ অগ্রহায়ণ ১৪৩২
ই-পেপার

কটিয়াদীতে সরকারি বালু অবৈধভাবে বিক্রি: ভ্রাম্যমাণ আদালতের ১ লাখ টাকা জরিমানা

আপডেট : ২৭ আগস্ট ২০২৫, ১০:০২ পিএম

কিশোরগঞ্জের কটিয়াদীতে মসূয়া ইউনিয়ন যুবদলের সভাপতি জহিরুল ইসলাম (জহির মেম্বার) দীর্ঘদিন ধরে অবৈধ ভাবে সরকারি বালুর ডাইক থেকে বালু বিক্রয় করে আসছেন। এমন অভিযোগের ভিত্তিতে বৈরাগীরচর গ্রামে ব্রহ্মপুত্র নদীর পাড়ে বালুর ডাইক থেকে অবৈধভাবে বালু বিক্রয় করার সময় ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে ১ লাখ টাকা জরিমানা করেন সহকারী কমিশনার (ভূমি) লাবনী আক্তার তারানা।

এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, এই বালুর ডাইকটি ব্রহ্মপুত্র নদী রক্ষায় সরকারের একটি চলমান প্রকল্প ছিলো। যার মাধ্যমে নদীর নাব্যতা রক্ষায় নদী খনন করা হয়। খননকৃত নদীর এই বালু উত্তোলন করে বৈরাগীরচর গ্রামে ব্রহ্মপুত্র নদীর পাড়ে বিশাল বড় একটি বালুর ডাইক তৈরি হয়। যা পরে সরকারি নিলামের মাধ্যমে বিক্রির সিদ্ধান্ত হয়। কিন্তু মসূয়া ইউনিয়ন যুবদলের সভাপতি জহিরুল ইসলাম (জহির মেম্বার) এর নেতৃত্বে একটি প্রভাবশালী মহল এই ডাইক থেকে অবৈধভাবে বালু বিক্রি করে আসছে। এই ডাইকে আনুমানিক ১০ কোটি টাকার বালু ছিলো, যা থেকে প্রায় ৬ কোটি টাকার বালু বিক্রয় করা হয়েছে বলে জানান স্থানীয়রা। এখনো আনুমানিক আরও ৪ কোটি টাকার বালু রয়েছে এ ডাইকে।

অনুসন্ধানে জানা যায়, বিগত ফ্যাস্টিট সরকারের আমলেও মসূয়া ইউনিয়ন যুবদলের সভাপতি জহিরুল ইসলাম (জহির মেম্বার) সাবেক সংসদ সদস্য নূর মোহাম্মদের ভাগ্নে মুন এর সখ্যতায় এই বালুর রাজত্ব দখল করে যাত্রা শুরু হয়। সরকার পতনের কিছুদিন পর পুনরায় এই মেম্বার কিছু সংখ্যক লোককে শেয়ার রেখে সম্পূর্ণ অবৈধভাবে বালুর ডাইকের বালু বিক্রি করে চলেছে।

সহকারী কমিশনার (ভূমি) লাবনী আক্তার তারানা জানান, অবৈধভাবে সরকারি বালুর ডাইক থেকে বালু বিক্রয় করে আসছেন মসূয়া ইউনিয়ন যুবদলের সভাপতি জহিরুল ইসলাম (জহির মেম্বার)। আমরা এমন একটি অভিযোগ পেয়েছি। ঘটনাস্থলে গিয়ে তার সত্যতা পাই। তারা অবৈধ কাগজ পত্র তৈরি করে দীর্ঘদিন যাবৎ সরকারি বালু বিক্রয় করে আসছে। তাদেরকে বালু মহল ও মাটি ব্যবস্থাপনা আইন ২০১০ এর ১৫ (১) ধারায় ১ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়। এসময় জহির মেম্বারের একটি বেকু মেশিন দুইটি ট্রাক্টর চালিত লরি ও বালু স্থানীয় চেয়ারম্যানের আবু বাক্কারের জিম্মায় রেখে আসা হয়।

উপজেলা বিএনপির সূত্রে জানা যায় যে, দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গ এবং বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের সাথে জড়িত থাকার দায়ে বিগত ১৮ আগস্ট ২০১৪ইং তারিখে একটি নোটিশের মাধ্যমে তাকে দলের প্রাথমিক সদস্য পদসহ সকল প্রকার পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। তবে মসূয়া ইউনিয়ন যুবদলের পদ থেকে উপজেলা যুবদল তাকে অব্যাহতি দেয়নি। যুবদলের বিভিন্ন কর্মসূচিতে তার অংশগ্রহণ অব্যাহত রয়েছে।

MMS
আরও পড়ুন