ঢাকা
সোমবার, ১৭ নভেম্বর ২০২৫, ২ অগ্রহায়ণ ১৪৩২
ই-পেপার

ভাঙ্গায় শালিস বৈঠকে দুইপক্ষের সংঘর্ষ, নিহত ১

আপডেট : ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৫:৪২ পিএম

ফরিদপুরের ভাঙ্গা পৌর এলাকার সোনাখোলা গ্রামে শালিস চলাকালীন প্রতিপক্ষের হামলায় জাকু মাতুব্বর (৫০) নামে একজন নিহত হয়েছেন। তিনি একই গ্রামের আনোয়ার মাতুব্বরের ছেলে।

দুইপক্ষের সংঘর্ষের ঘটনায় এ সময় কমপক্ষে আরও ২৫ জন আহত হয়েছেন। তাদের ভাঙ্গা ও ফরিদপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

রোববার (২৮ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যা পৌনে ৬টার দিকে শালিস বৈঠকে প্রতিপক্ষের লোকজন তাকে পিটিয়ে হত্যা করেছে বলে স্থানীয়রা জানিয়েছেন। খবর পেয়ে পুলিশ রাত ৯টার দিকে ভাঙ্গা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে নিহত ব্যক্তির মরদেহ উদ্ধার করে।

এ ঘটনায় গোটা এলাকায় ছড়িয়ে পড়েছে উত্তেজনা এবং রাতভর লুটপাটের ঘটনা ঘটেছে বলে অভিযোগ উঠেছে।

পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, আলগী ইউনিয়নের নলিয়া গ্রামের সালাউদ্দিন মিয়ার একটা ভ্যানগাড়ি সোনাখোলা গ্রামের মহসীন মিয়ার ছেলে সালাউদ্দিন ২ দিন আগে চুরি করে। এ নিয়ে সোনাখোলা গ্রামের শাহজাহান খানের বাড়ির সামনের রাস্তায় সামাজিক বিচার করতে বসেছিল দুটি গ্রামের মুরব্বিরা।

শালিস চলাকালীন সময়ে দুপক্ষের কথার মধ্যে ভ্যানগাড়ি ফেরতসহ চুরির অপরাধে আর্থিক জরিমানার কথা উঠতেই ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠে ভ্যান চোর সালাউদ্দিন ও তার শালিস পক্ষের লোকজন।

চরম উত্তেজনার মুহূর্তে শালিস বৈঠকের সামনে দেশীয় অস্ত্রে সজ্জিত ও লাঠিসোঠা নিয়ে একে অন্যর উপর ঝাঁপিয়ে পড়ে। খবর পেয়ে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনলেও জাকু মাতুব্বরকে পিটিয়ে গুরুতর আহত করে প্রতিপক্ষের লোকজন। পরে আহত অবস্থায় তাকে ভাঙ্গা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। তার মৃত্যুর খবর গ্রামে ছড়িয়ে পড়লে সালাউদ্দিনের পরিবার ও তার পক্ষের লোকজন পালিয়ে যায়।

ঘটনার পর সোনাখোলা গ্রামের বিভিন্ন বাড়িতে রাতভর লুটপাটের ঘটনা ঘটে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। খবর পেয়ে সেখানে টহল জোরদার করা হয়েছে বলে জানায় পুলিশ।

ভাঙ্গা থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ আশরাফ হোসেন বলেন, পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করেছে। এ বিষয়ে আইনি প্রক্রিয়া অব্যাহত রয়েছে।

NJ
আরও পড়ুন