বিএনপির সদ্য ঘোষিত জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দলীয় মনোনয়নপ্রাপ্তদের তালিকায় সাতক্ষীরা-৩ (কালিগঞ্জ-আশাশুনি) আসনে কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ও 'গরিবের ডাক্তার' হিসেবে পরিচিত অধ্যাপক ডা. মো. শহিদুল আলমকে অন্তর্ভুক্ত না করায় সাতক্ষীরার নলতা এলাকা উত্তাল হয়ে উঠেছে।
মঙ্গলবার (৪ নভেম্বর) নলতায় তার কর্মী-সমর্থক এবং সাধারণ জনগণের প্রতিবাদে অর্ধ-দিবস হরতাল পালিত হয়। এ সময় বিক্ষুব্ধ জনতা মনোনয়নপ্রাপ্ত কাজী আলাউদ্দিনের কুশপুত্তলিকা দাহ করে।
মনোনয়ন বঞ্চনার প্রতিবাদে নলতা হাসপাতাল মোড়ে আজ সকালে এ কর্মসূচি শুরু হয়। বেলা ১১টার দিকে নলতা ইউনিয়ন বিএনপি ও সাধারণ মানুষের অংশগ্রহণে সড়ক অবরোধ করে প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। প্রায় এক ঘণ্টাব্যাপী এই অবরোধের ফলে সাতক্ষীরা-মুন্সিগঞ্জ সড়কে দীর্ঘ যানজট সৃষ্টি হয়, যা যাত্রীদের চরম ভোগান্তির মুখে ফেলে। কর্মসূচিতে সাধারণ জনগণের পাশাপাশি অনেক নারীকেও অংশগ্রহণ করতে দেখা যায়। এছাড়া নলতা ও কালিবাড়িসহ পার্শ্ববর্তী এলাকার সব ব্যবসাসহ অন্যান্য প্রতিষ্ঠান অর্ধ-দিবস বন্ধ ছিল।
মনোনয়ন বঞ্চনার প্রতিবাদে নলতা হাসপাতাল মোড়ে আজ সকালে এ কর্মসূচি শুরু হয়। বেলা ১১টার দিকে নলতা ইউনিয়ন বিএনপি ও সাধারণ মানুষের অংশগ্রহণে সড়ক অবরোধ করে প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। প্রায় এক ঘণ্টাব্যাপী এই অবরোধের ফলে সাতক্ষীরা-মুন্সিগঞ্জ সড়কে দীর্ঘ যানজট সৃষ্টি হয়, যা যাত্রীদের চরম ভোগান্তির মুখে ফেলে। কর্মসূচিতে সাধারণ জনগণের পাশাপাশি অনেক নারীকেও অংশগ্রহণ করতে দেখা যায়। এছাড়া নলতা ও কালিবাড়িসহ পার্শ্ববর্তী এলাকার সব ব্যবসাসহ অন্যান্য প্রতিষ্ঠান অর্ধ-দিবস বন্ধ ছিল।
নলতা ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি কিসমাতুল বারীর সভাপতিত্বে প্রতিবাদ সমাবেশে বক্তব্য রাখেন- জেলা বিএনপির সদস্য শেখ নুরুজ্জামান, উপজেলা বিএনপির সাবেক ছাত্রবিষয়ক সম্পাদক ও বিষ্ণুপুর ইউপি চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আলম, নলতা ইউপি চেয়ারম্যান আজিজুর রহমান পাড়, জেলা তরুণ দলের সহসভাপতি মাসুম বিল্লাহ, বিএনপি নেতা এসএম হাফিজুর রহমান বাবুসহ বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ।
বক্তারা ডা. শহিদুল আলমকে 'জনমানুষের নেতা' এবং 'গরিবের ডাক্তার' অভিহিত করে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন, তাকে মনোনয়ন না দিলে বিএনপি নিশ্চিতভাবে এই আসনটি হারাবে। তারা ঘোষিত মনোনয়ন বাতিল করে অধ্যাপক ডা. মো. শহিদুল আলমকে পুনর্বিবেচনার মাধ্যমে দলীয় প্রার্থী করার জোর দাবি জানান।
বক্তারা ডা. শহিদুল আলমকে 'জনমানুষের নেতা' এবং 'গরিবের ডাক্তার' অভিহিত করে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন, তাকে মনোনয়ন না দিলে বিএনপি নিশ্চিতভাবে এই আসনটি হারাবে। তারা ঘোষিত মনোনয়ন বাতিল করে অধ্যাপক ডা. মো. শহিদুল আলমকে পুনর্বিবেচনার মাধ্যমে দলীয় প্রার্থী করার জোর দাবি জানান।

প্রতিবাদ সভায় বক্তারা হুঁশিয়ারি দেন, এই দাবি না মানা হলে কালিগঞ্জ উপজেলা বিএনপির কার্যালয়ের সামনে বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে এবং আগামী দিনে আরও কঠোর কর্মসূচি দেওয়া হবে।
এর আগে সোমবার (৩ নভেম্বর) রাতে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর দলীয় প্রার্থীদের নাম ঘোষণার পরপরই ডা. শহিদুল আলমকে মনোনয়ন না দেওয়ার প্রতিবাদ শুরু হয়। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমফেসবুকসহ আশাশুনি ও কালিগঞ্জ উপজেলার বিভিন্ন স্থানে ফুঁসে ওঠে নেতাকর্মীরা।
রাতে তাৎক্ষণিকভাবে রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ মিছিল করেন বিএনপি ও সহযোগী অঙ্গ সংগঠনের বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী। তারা স্লোগানে স্লোগানে ডা. শহিদুল আলমের প্রতি সমর্থন জানিয়ে তার প্রতি হওয়া “অবিচার ও অবমূল্যায়নের” প্রতিবাদ জানান।
বিক্ষোভকারীরা অভিযোগ করেন, দলীয় মনোনয়ন বণ্টনে ত্যাগী ও জনপ্রিয় নেতাদের প্রতি সুবিচার হয়নি।” তারা অবিলম্বে ডা. শহিদুল আলমের প্রতি দলের কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার দাবি জানান।
বিক্ষোভকারীরা অভিযোগ করেন, দলীয় মনোনয়ন বণ্টনে ত্যাগী ও জনপ্রিয় নেতাদের প্রতি সুবিচার হয়নি।” তারা অবিলম্বে ডা. শহিদুল আলমের প্রতি দলের কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার দাবি জানান।
নোয়াখালী-৬ আসনে বিএনপির মনোনয়ন পেলেন শামীম
মাদারীপুর-১ আসনে মনোনয়ন স্থগিত বিএনপির