ঢাকা
সোমবার, ১৭ নভেম্বর ২০২৫, ২ অগ্রহায়ণ ১৪৩২
ই-পেপার

রাতের আঁধারে কৃৃষকের ৫ গরুসহ দুই বাড়িতে দুর্ধর্ষ চুরি

আপডেট : ১০ নভেম্বর ২০২৫, ০২:৩৮ পিএম

গাজীপুরের শ্রীপুরে মাওনা ইউনিয়নের শিরিশগুড়ি গ্রামে দুই বাড়িতে দুর্ধর্ষ চুরির ঘটনা ঘটেছে। একই রাতে বারতোপা (পাথারপাড়া) গ্রামের কৃষক আব্দুল কাশেমের গোয়াল ঘরের তালা কেটে চোরের দল ৫টি গরু চুরি করে নিয়ে গেছে।

রোববার (৯ নভেম্বর) দিবাগত রাতে এসব চুরির ঘটনা ঘটে।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গতকাল গভীর রাতে শিরিশগুড়ি গ্রামের মৃত শাহাব উদ্দীনের ছেলে মাওনা ইউনিয়ন বিএনপির সদস্য আলী আকবরের বাড়িতে চুরির ঘটনা ঘটে। চোরের দল ঘরের তালা ভেঙ্গে ঘরে প্রবেশ করে নগদ টাকা, স্বর্ণালঙ্কার ও মূল্যবান সামগ্রী নিয়ে যায়। ওই রাতে একই গ্রামের মৃত আবুল হোসেনের ছেলে রাইসুলের বাড়িতেও চুরির ঘটনা ঘটে। চোরেরা দরজার তালা কেটে ঘরে ঢুকে নগদ টাকা, কাপড়-চোপড়সহ মালামাল নিয়ে পালিয়ে যায়।

অপরদিকে, শ্রীপুরের বারতোপা (পাথারপাড়া) গ্রামের কৃষক আব্দুল কাশেমের গোয়াল ঘরের তালা কেটে রাতের আঁধারে একদল চোর পিকআপে করে ৫টি গরু নিয়ে গেছে। ৫টি গরুর মূল্যে প্রায় ৬ লাখ টাকা।

সোমবার (১০ নভেম্বর) ভোররাত ৪টার দিকে উপজেলার মাওনা ইউনিয়নের বারতোপা (পাথারপাড়া) গ্রামের বারতোপা প্রিন্টার্স কারখানা সংলগ্ন ওই কৃষকের বাড়িতে এ চুরির ঘটনা ঘটে।

কৃষক আব্দুল কাশেম বারতোপা (পাথারপাড়া) গ্রামের মৃত আব্দুল মালেকের ছেলে।

তিনি জানান, ভোর সাড়ে ৪টার দিকে আবার ঘুম ভাঙলে তিনি বের হয়ে দেখেন গোয়াল ঘরে একটি গরুও নেই। চুরি যাওয়া গরুর মধ্যে ৩টি গাভি রয়েছে, যার মূল্যে সাড়ে ৩ লাখ টাকা এবং ২টি ষাঁড়ের মূল্যে আড়াই লাখ টাকা।

এই কৃষক বলেন, চোরের দল অল্প সময়ের মধ্যে গোয়াল ঘরের তালা কেটে পিকআপে করে ৫টি গরু তুলে নিয়ে দ্রুত চলে যায়। ৫টি গরুই ছিল আমার সম্বল। গরুগুলো চুরি হওয়ায় আমি শেষ হয়ে গেলাম। আমার আর কিছুই থাকল না। চোরদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনার দাবি জানান তিনি।

ঘটনার পরে কৃষক তার ভাইকে নিয়ে বের হলে মাওনা চৌরাস্তা এসে সিএনজি ষ্টেশনে জিজ্ঞাসা করলে সবাই বলে ১৫ মিনিট আগে একটি পিকআপে করে গরু নিয়ে ঢাকার দিকে দ্রুত গতিতে চলে গেছে।

মাওনা ইউনিয়নের ৩নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি রুহুল আমীন বলেন, ভোররাতে কৃষক আব্দুল কাশেমের বাড়ি থেকে ৫টি গরু চুরি হয়েছে। খুবই দুঃখজনক ঘটনা। পিকআপে করে মাঝেমধ্যেই এমন চুরির ঘটনা ঘটছে। গরু চুরি রোধে রাতে পুলিশ প্রশাসনের নজরদারি বাড়ানো দরকার।

শ্রীপুর থানাধীন চকপাড়া পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ উপ-পরিদর্শক (এসআই) মিজানুর রহমান বলেন, খবর পাওয়া মাত্রই পুলিশ কৃষকের বাড়ি পরিদর্শন করেছে। ভুক্তভোগী কৃষক অভিযোগ দিলে তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। চোর চক্রকে খুঁজে বের করার জন্য বিভিন্ন পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে।

NJ
আরও পড়ুন