ঢাকা
সোমবার, ০৮ ডিসেম্বর ২০২৫, ২৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩২
ই-পেপার

মধ্যরাতে ‘যৌথ বাহিনী-সন্ত্রাসী’ গোলাগুলি, আটক ১১

পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে সন্ত্রাসীরা গুলি চালাতে শুরু করলে পুলিশও পাল্টা গুলি চালায়। একপর্যায়ে সন্ত্রাসীরা পেছনে হাটতে থাকে এবং আহত অবস্থায় শীর্ষ সন্ত্রাসী পলাশসহ তার সহযোগী কালা লাভলু ওরফে রুবেল ইসলামসহ ১১ জনকে আটক করা হয়

আপডেট : ৩০ মার্চ ২০২৫, ০৮:৪৫ এএম

খুলনায় মধ্যরাতে ‘সন্ত্রাসীদের’ সঙ্গে যৌথ বাহিনীর গোলাগুলি বিনিময়ের পর শীর্ষ সন্ত্রাসী শেখ পলাশসহ ১১ জনকে আটক করা হয়েছে।  

রোববার (৩০ মার্চ) ভোররাত পর্যন্ত চলা এই অভিযানে ঘটনাস্থল থেকে ৫-৬টি অস্ত্র এবং বিপুল পরিমাণ গুলি উদ্ধার করা হয়। বর্তমানে নগর গোয়েন্দা পুলিশ ঘটনাস্থল ঘিরে রেখেছে।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের সোনাডাঙ্গা জোনের সহকারী কমিশনার (এসি) আজম খান।

পুলিশের কর্মকর্তারা জানান, অন্ধকার থাকায় ওই স্থান ব্লক করে রাখা হয়েছে এবং সকাল বেলা আবারও সেখানে তল্লাশি চালানো হবে।

আটককৃতরা হলেন, খুলনার শীর্ষ সন্ত্রাসী শেখ পলাশ (৩৩), কালা লাভলু (রুবেল ইসলাম) (৩৫), মো. আরিফুল (২৭), ফজলে রাব্বি রাজন (২৬), মোহাম্মদ লিয়ন শরীফ (৩৩), ইমরানুজ্জামান (৩৩), ইমরান (৩৫), রিপন (৩৮), সৈকত রহমান (২৭), মো. মহিদুল ইসলাম (৩৫) এবং মো. গোলাম রব্বানী (২৬)।

সোনাডাঙ্গা মডেল থানা পুলিশের এসআই মো. হাই জানান, রাতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে তারা জানতে পারেন যে সন্ত্রাসীরা সোনাডাঙ্গা থানাধীন বানরগাতী এলাকার আরামবাগ সংলগ্ন একটি বাড়িতে বসে মিটিং করছে। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে সন্ত্রাসীরা গুলি চালাতে শুরু করলে পুলিশও পাল্টা গুলি চালায়। একপর্যায়ে সন্ত্রাসীরা পেছনে হাটতে থাকে এবং আহত অবস্থায় শীর্ষ সন্ত্রাসী পলাশসহ তার সহযোগী কালা লাভলু ওরফে রুবেল ইসলামসহ ১১ জনকে আটক করা হয়। তাদের খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।

এসআই হাই আরও জানান, রাত সাড়ে ৩টায় অভিযান অসমাপ্ত ঘোষণা করা হয় এবং বাড়িটি ডিবি পুলিশের একটি দল ঘিরে রেখেছে। এই ঘটনায় ৩ জন পুলিশ সদস্য এবং ১ জন নৌবাহিনীর সদস্য গুরুতর আহত হয়েছেন। আহত পুলিশ সদস্যরা খুলনা পুলিশ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

AHA