খুলনায় একই রাতে পৃথক দু’টি স্থানে দুইজনকে হত্যা করা হয়েছে। রূপসা উপজেলায় গুলি করে সাব্বির (২৭) নামে এক যুবককে ও রাজবন্ধ এলাকার দক্ষিণ পাড়ায় বাবলু দত্ত (৫০) নামে একজনকে হত্যা করা হয়।
বৃহস্পতিবার (২৬ জুন) রাতে রূপসা উপজেলার রাজাপুর গ্রামে সাব্বির ও হরিণটানার রাজবন্ধ এলাকার দক্ষিণ পাড়ায় বাবলু দত্তকে হত্যার ঘটনা ঘটে।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, বৃহস্পতিবার রাত ৯টার দিকে রূপসা উপজেলার রাজাপুর গ্রামের পপুলার এলাকার সোহাগের বাড়িতে গোলাগুলির ঘটনা ঘটে। এ সময় দুর্বৃত্তের গুলিতে সাব্বিরের মৃত্যু হয় এবং সাদ্দাম নামে আরেক যুবকের মাথার পেছনে একটি গুলিবিদ্ধ হয়। পরে স্থানীয়রা গুরুতর আহত অবস্থায় সাদ্দামকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায়। এর মধ্যে ঘটনাস্থলে একজনের মরদেহ পড়ে থাকতে দেখে পুলিশে খবর দেন স্থানীয়রা।
রাজাপুর ক্যাম্পের ইনচার্জ এসআই আশরাফুল আলম বলেন, নিহত এবং আহত দুজনই খুলনার শীর্ষ সন্ত্রাসী গ্রেনেড বাবু গ্রুপের সদস্য। সাব্বির এবং সাদ্দামসহ আরও অনেক যুবক ওই বাড়িতে অবস্থান করছিল। রাত ৯টার দিকে ৫-৭ জন দুর্বৃত্ত তাদের ওপর সশস্ত্র আক্রমণ করে। এতে দু’গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। সংঘর্ষে একটি গুলি সাব্বিরের মাথার পেছন দিয়ে ঢুকে চোখ দিয়ে বের হয়ে যায় এবং একটি গুলি সাদ্দামের মাথার পেছনে বিদ্ধ হয়।
তিনি আরও জানান, ঘটনাস্থল থেকে দু’ রাউন্ড তাজা গুলি এবং দু’টি গুলির খোসা উদ্ধার করা হয়েছে। রাতেই সাব্বিরের মরদেহের সুরাতহাল রিপোর্ট তৈরি করে ময়নাতদন্তের জন্য খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। এ ঘটনায় জড়িতদের গ্রেপ্তারে অভিযান শুরু হয়েছে।
এদিকে বৃহস্পতিবার রাত ৮টার দিকে নগরীর হরিণটানা রাজবন্ধ এলাকার দক্ষিণ পাড়ায় বাবলু দত্ত (৫০) নামের এক ব্যক্তিকে গলা কেটে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। নিহত বাবুল দত্ত দক্ষিণপাড়া এলাকার বাসিন্দা অমূল্য দত্তের ছেলে।
পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্র জানায়, কাজ শেষ করে মোটরসাইকেলে বাড়িতে ফিরছিলেন বাবলু দত্ত। এ সময়ে কয়েকজন দুর্বৃত্ত তার গতিরোধ করে এবং ফাঁকা একটি প্লটে নিয়ে যায়। সেখানে নিয়ে তাকে জবাই করে মৃত্যু নিশ্চিত করে চলে যায়। পরবর্তীতে রাত সাড়ে ১০টার দিকে পুলিশকে খবর দেওয়া হয়।
হরিণটানা থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ খায়রুল বাসার বলেন, ধারালো ছুরি দিয়ে তাকে হত্যা করা হয়েছে। মরদেহের সুরতহাল রিপোর্ট প্রস্তুত শেষে ময়নাতদন্তের জন্য খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় আইনি ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন। ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
