সাতক্ষীরায় পুলিশ ট্রেইনি রিক্রুট কনস্টেবল (টিআরসি) পদে নিয়োগ পরীক্ষায় প্রাথমিকভাবে নির্বাচিত প্রার্থীদের ফলাফল প্রকাশ করা হয়েছে। সম্পূর্ণ মেধা ও যোগ্যতার ভিত্তিতে মাত্র ১২০ টাকায় ২৮ জন তরুণ-তরুণী প্রাথমিকভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। এর মধ্যে পুরুষ ২৬ জন এবং নারী ২ জন রয়েছেন। আরও ৬ জন প্রার্থী অপেক্ষায় রয়েছেন।
বুধবার (১০ সেপ্টেম্বর) রাতে পুলিশ লাইন্স ড্রিলসেডে প্রাথমিকভাবে নির্বাচিত প্রার্থীদের ফলাফল প্রকাশের পর তাদের অভিনন্দন জানান সাতক্ষীরার পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মনিরুল ইসলাম।
এ সময় খুশিতে আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন প্রাথমিকভাবে নির্বাচিত প্রার্থীসহ তাদের অভিভাবকরা। আবেদন ফি ১২০ টাকা ছাড়া আর কোনো টাকা না লাগায় পুলিশ সুপারের প্রতি তারা কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। উপস্থিত সবার এ সময় হৃদয় ছুঁয়ে যায়।
পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মনিরুল ইসলাম জানান, নিয়োগের প্রথম দিন থেকে শেষ পর্যন্ত সম্পূর্ণ মেধা, যোগ্যতা ও শতভাগ স্বচ্ছতার ভিত্তিতে নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা হয়েছে। এখান যারা উত্তীর্ণ হয়েছেন, তারা সবাই নিজেদের মেধা ও যোগ্যতার ভিত্তিতেই স্থান পেয়েছেন। একই সাথে তিনি অকৃতকার্য প্রার্থীদের ভবিষ্যতে আবারও প্রস্তুতি নিয়ে পুনরায় চেষ্টা করার আহ্বান জানান।

পুলিশ সুপার আরও বলেন, বাংলাদেশ পুলিশে যোগদানের মাধ্যমে প্রার্থীরা দেশের সেবা করার সুযোগ পাবেন। এজন্য সবার উচিত সততা, শৃংখলা ও পেশাদারিত্ব বজায় রাখা। পুলিশের ট্রেইনি রিক্রুট কনস্টেবল (টিআরসি) পদে নিয়োগ পরীক্ষায় সাতক্ষীরা জেলায় প্রাথমিকভাবে যারা নির্বাচিত হয়েছে, তারা সম্পূর্ণ তদবিরবিহীন, প্রভাবমুক্ত, স্বচ্ছ, মেধা ও যোগ্যতার ভিত্তিতে নির্বাচিত হয়েছেন।
নিয়োগ বোর্ডের সদস্য হিসেবে এ সময় সেখান আরো উপস্থিত ছিলেন- যশোর জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ডিএসবি রুহুল আমিন খুলনা রেঞ্জ ডিআইজি কার্যালয়ের অতিরিক্ত পুলিশ সু (ক্রাইম ম্যানজমেন্ট) বিমল কৃষ্ণ মল্লিক, সাতক্ষীরার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) মো. মুকিত হাসান খানসহ জেলা পুলিশের বিভিন্ন পদমর্যাদার কর্মকর্তা, প্রার্থী ও সাংবাদিকরা।
এবার এ নিয়োগ পরীক্ষায় ১ হাজার ৯০০ জন প্রার্থী আবেদন করেন। এর মধ্যে পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করন ১ হাজার ৪০০ জন, প্রাথমিকভাব উত্তীর্ণ হন ৩৩৫ জন, লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন ৫৮ জন, মনস্তাত্তিক ও মৌখিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন ৩৬ জন, চূড়ান্তভাবে উত্তীর্ণ হন ২৮ জন এবং অপক্ষমান রয়েছেন ৬ জন।
