বাংলাদেশে মারা গেছেন তারা বানু। মেয়ে থাকেন সীমান্তের ওপারে ভারতের মালদা জেলায়। শেষবারের মতো মায়ের প্রিয় মুখখানি দেখতে আসতে চান ভারতে বসবাসকারী মেয়ে। কিন্তু মাঝখানে বাধা হয়ে দাঁড়ায় দুই দেশের সীমান্ত, যা পাসপোর্ট-ভিসা ছাড়া পাড়ি দেওয়া অসম্ভব।
তবে শেষ পর্যন্ত মায়ের মরদেহের কাছে পৌঁছাতে মেয়ের ভিসা-পাসপোর্টের দরকার পড়েনি। বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) মানবিক উদ্যোগে সীমান্তের শূন্যরেখায় শেষবারের মতো মায়ের মুখ দেখার সুযোগ মেলে।
মঙ্গলবার (৯ ডিসেম্বর) চাঁপাইনবাবগঞ্জে শিবগঞ্জ উপজেলার বিনোদপুর ইউনিয়নের জমিনপুর সীমান্তে শেষবারের মত মায়ের মুখ দেখলেন মেয়ে ও ভারতীয় আত্মীয়-স্বজন।
জানা গেছে, বাংলাদেশি নাগরিক সীমান্তবর্তী এলাকা জমিনপুর গ্রামের তারা বানু (৭৫)। সোমবার (৮ ডিসেম্বর) রাতে বার্ধক্যজনিত কারণে মারা যান তিনি। ভারতের মালদায় তারা বানুর মেয়ে মোছা. মালেকা বেগমসহ স্বজনরা বসবাস করেন। স্বজনরা লাশ দেখার জন্য ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) মাধ্যমে বিজিবির কাছে আবেদন করেন। পরিপ্রেক্ষিতে তাৎক্ষণিক মরদেহ দেখানোর সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন মহানন্দা ব্যাটালিয়ন ৫৯ বিজিবির অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল গোলাম কিবরিয়া।
মঙ্গলবার সকালে ৫৯ বিজিবি অধীন কিরণগঞ্জ বিওপির জমিনপুর সীমান্তের শূন্যরেখায় বিএসএফ ও বিজিবির সমন্বয়ে মরদেহ দেখানোর ব্যবস্থা করা হয়।
শেষবারের মতো মৃত মায়ের মুখ দেখতে পেয়ে দু'দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান। এ ছাড়াও লাশ দেখার এ সুযোগ করে দেওয়ার জন্য বাংলাদেশি আত্মীয়-স্বজনরাও বিএসএফ ও বিজিবির মানবিক ভূমিকার প্রশংসা করেন।
মহানন্দা ব্যাটালিয়নের (৫৯ বিজিবি) অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল গোলাম কিবরিয়া বলেন, বিজিবি যে কোনো মানবিক কাজে সহানুভূতিশীল।
