নাটোরের সিংড়ায় বালুয়া বাসুয়া চলনবিল গেট মোড়ে চলনবিল এলাকার সবচেয়ে বড় ডিমের হাট বসে। সপ্তাহে দুই দিন হাটে ৩-৪ লক্ষাধিক ডিম কেনাবেচা হয় এখানে।
তারপর চলে যায় বগুড়া, রংপুর, গাইবান্ধা, জামালপুর, ঢাকা, টাঙ্গাইল, সিরাজগঞ্জ, পাবনাসহ দেশের প্রায় ৬৩টি জেলায়। এলাকার চাহিদা মিটিয়ে দেশের প্রোটিনের বড় অংশ পূরণ করছে চলনবিলের হাঁসের এসব ডিম।
প্রাণী সম্পদ অফিস ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ২০০৪ সালে বালুয়া বাসুয়া মহল্লার বাসিন্দা আব্দুল ওহাবের প্রচেষ্টায় গড়ে উঠে ডিমের হাট। সিংড়া পৌর এলাকার ৪নং ওয়ার্ডের চলনবিল যাওয়ার রাস্তার শুরুতে এই হাট বসে।
প্রতি সোম ও বৃহস্পতিবার দুদিন হাট বসে এখানে। আস্তে আস্তে পরিধি বাড়তে থাকে। বর্তমানে দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে পাইকার এসে ডিম কিনে নিয়ে যান। ডিমের পরিধি দেখে দাম। ৬০ থেকে ৭০ টাকা হালি বিক্রি হয়। ১৬০০ থেকে ১৮০০ টাকা 'শ' হিসেবে বিক্রি হয়।
সিরাজগঞ্জ থেকে আসা আ. খালেক বলেন, আমি ৫ বছর থেকে ডিম কিনি এখান থেকে। ডিমের দাম বেশি। ক্রেতা, বিক্রেতা অনেক। হাঁসের খাবারের দাম বেশি হওয়ায় ডিমের দাম বেশি।
বগুড়া থেকে ডিম কিনতে আসা খুচরা ব্যবসায়ী রিফাত জানান, সিংড়ার এই হাট দেশের মধ্যে সবচেয়ে বড় ডিমের হাট, এখানে সপ্তাহে ২ দিন হাট বসে। ডিমের দামও বেশি। চলনবিলের হাসের ডিম সুস্বাদু ও পুষ্টিকর। তাই ক্রেতারা বেশি দামেই কেনেন।
ডিম ব্যবসায়ী আব্দুল ওহাব জানান, আমি বগুড়ার একজন ডিম ব্যবসায়ী। প্রতি হাটে এসে পাইকারী ডিম নেই। ডিমের চাহিদা আছে। এসব হাঁস ঝিনুক, শামুক খায় জন্য ডিমের স্বাদও বেশি ।
আড়ৎদার আলহাজ্ব জানান, আমার বাবার হাত ধরেই এ হাটের সূচনা হয়েছিল। এখন উত্তরবঙ্গের বড় ডিমের হাটে পরিণত হয়ে উঠেছে।
ডিমের আড়ৎদার খালিদ হাসান বলেন, প্রতি সোমবার ও বৃহস্পতিবার এখানে ভোর ৬টা থেকে সকাল ১০টা পর্যন্ত হাট বসে। চলনবিলের বিভিন্ন খামারিরা ডিম নিয়ে আসেন এবং পাইকারী ও খুচরা বিক্রি হয়। প্রতি হাটে ১ থেকে ২ লাখ ডিম আমদানি হয়।
সিংড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার মাজহারুল ইসলাম জানান, চলনবিলের ঐতিহ্যবাহী ডিমের বাজারে দেশি প্রজাতির ডিম পাওয়া যায়। হাটের সৌন্দর্য বর্ধনসহ কোনো সমস্যা থাকলে উপজেলা প্রশাসন সহযোগিতা করবে।
নদীর বুকে সবুজ বীজের হাট 