ঢাকা
মঙ্গলবার, ১৮ নভেম্বর ২০২৫, ৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩২
ই-পেপার

এমপিপুত্রের চেয়ে ভাইয়ের সম্পদ ৭ গুণ বেশি

আপডেট : ১২ মে ২০২৪, ১১:০৩ এএম

৬ষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের দ্বিতীয় ধাপে লালমনিরহাটের কালীগঞ্জ উপজেলা পরিষদের নির্বাচন ২১ মে অনুষ্ঠিত হবে। এ উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে ৩ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করলেও মূল প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে লালমনিরহাট-২ (আদিতমারী- কালীগঞ্জ)  আসনের এমপি ও সাবেক সমাজকল্যাণ মন্ত্রী নুরুজ্জামান আহমেদের ছেলে রাকিবুজ্জামান আহমেদ ও তাঁর সহোদর ছোট ভাই সদ্য সাবেক উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মাহবুবুজ্জামান আহমেদের মধ্যেই। অপর প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী হচ্ছেন তারিকুল ইসলাম ওরফে তুষার। 

এ নির্বাচন উপলক্ষে দাখিল করা হলফনামা বিশ্লেষণ করে জানা যায়, সাবেক সমাজকল্যাণ মন্ত্রী নুরুজ্জামান আহমেদের পুত্র রাকিবুজ্জামান আহমেদের চেয়ে এমপির ছোট ভাই মাহবুবুজ্জামান আহমেদের বার্ষিক আয় ৭ দশমিক ৭০ গুণ বেশি। 

রাকিবুজ্জামান আহমেদের পেশা হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে ব্যবসা। বার্ষিক আয় দেখানো হয়েছে ১১ লাখ ৩৬ হাজার ৪০০ টাকা। 

লালমনিরহাট জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক রাকিবুজ্জামান আহমেদ রাষ্ট্র বিজ্ঞানে মাষ্টার্স পাস করে কালীগঞ্জের কেইউপি মহাবিদ্যালয়ের শিক্ষক হিসেবে কর্মরত ছিলেন। সম্প্রতি উক্ত বেসরকারি কলেজটি সরকারিকরণ হলে তিনি শিক্ষকতার পদ থেকে পদত্যাগ করেন। 

মাহবুবুজ্জামান আহমেদও পেশা হিসেবে উল্লেখ করেছেন ব্যবসা। তিনি বিভিন্ন খাত মিলিয়ে সর্বমোট বার্ষিক আয় দেখিয়েছেন ৮৭ লাখ ৫৭ হাজার ৬০২ টাকা। 

মাহবুবুজ্জামান আহমেদ বিকম পাস। তিনি লালমনিরহাট জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি। তিনি দুইবারের নির্বাচিত কালীগঞ্জ উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান। এর আগে ২০ বছরের অধিক সময় কালীগঞ্জের তুষভান্ডার ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ছিলেন। 

উপজেলা পরিষদ নির্বাচন উপলক্ষে দাখিল করা হলফনামায় মাহবুবুজ্জামান আহমেদ অস্থাবর সম্পদ হিসেবে নগদ টাকার পরিমাণ এক লাখ ৫০ হাজার টাকা, ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে জমাকৃত সর্বমোট অর্থের পরিমাণ তিন কোটি ৬১ লাখ ৫১ হাজার ২৭৫ টাকা, সরকারি বন্ড ক্রয় এক লাখ টাকা, অর্জনকালীন সময়ের স্বর্ণের মূল্য দশ হাজার টাকা, ইলেকট্রনিক সামগ্রী ৫০ হাজার টাকা, আসবাবপত্রের মূল্য ৬৫ হাজার টাকা এবং অন্যান্য খাতে দুই লাখ ৪০ হাজার টাকাসহ অস্হাবর সম্পদের পরিমাণ তিন কোটি ৬৭ লাখ ৬৬ হাজার ২৭৫ টাকা  দেখানো হয়েছে। 

অপরদিকে এমপিপুত্র রাকিবুজ্জামান আহমেদের হলফনামায় অস্থাবর সম্পদ হিসেবে ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে জমাকৃত সর্বমোট অর্থের পরিমাণ ৩৪ লাখ ৪০ হাজার ৪০০ টাকা, ইলেকট্রনিক সামগ্রীর অর্জনকালীন মূল্য দুই লাখ ৫০ হাজার টাকা, আসবাবপত্রের মূল্য পাঁচ লাখ ৫০ হাজার টাকাসহ মোট অস্থাবর সম্পদের পরিমাণ ৪২ লাখ ৪০ হাজার ৪০০ টাকা দেখানো হয়েছে। 

হলফনামার তথ্য অনুযায়ী, এমপি নুরুজ্জামান আহমেদের সহোদর ছোট ভাই মাহবুজ্জামান আহমেদের অস্থাবর সম্পদের পরিমাণ এমপিপুত্র রাকিবুজ্জামান আহমেদের চেয়ে ৮ দশমিক ৬৭ গুণ বেশি। 

এ দিকে এমপিপুত্র রাকিবুজ্জামান আহমেদ তার হলফনামায় তথ্য গোপন করার অভিযোগ করেন এমপির ছোট ভাই মাহবুজ্জামান আহমেদ। 

তবে এমপিপুত্র রাকিবুজ্জামান আহমেদ বলেন, রিটার্নিং কর্মকর্তা উভয় পক্ষের আইনজীবীগণের যুক্তি তর্ক উপস্থাপন শেষে আমার মনোনয়নপত্র বৈধ ঘোষণা করেছেন।

AHA/AST
আরও পড়ুন