আসন্ন কোরবানির ঈদে এবার হাট মাতাবে গাইবান্ধার সাদুল্লাপুর উপজেলার ধাপেরহাটের প্রায় ২৫ ও ২৩ মণ ওজনের হিরো ও ভিলেন। ১৪ লাখ টাকায় হিরো ও ভিলেনকে বিক্রি করবেন বলে আশা গরুটির মালিক অবসর প্রাপ্ত শিক্ষক শহিদুল ইসলামের ।
বিশাল দেহের সাদা ও হালকা কালো রংঙ্গের হিরো প্রায় সাড়ে ৮ ফুট লম্বা এবং উচ্চতা প্রায় ৬ ফুট। দেহের ওজন প্রায় ২৩ মন। আর গারো কাল রংঙ্গের ভিলেন প্রায় ৯ ফুট লম্বা এবং উচ্চতা প্রায় ৬ ফুট আর দেহের ওজন প্রায় ২৫ মন। জেলার অন্যতম বড় গরু হিসাবে কোরবানির ঈদ উপলক্ষে সব ক্রেতার নজর কাড়বে এবার গরু দুটি।

গরু দুটির মালিক সাদুল্লাপুর উপজেলার ধাপেরহাট ইউনিয়নের মাওয়াগারি গ্রামের শহিদুল ইসলাম জানান, স্থানীয় দুটি খামার থেকে প্রায় আড়াই বছর আগে হিরো ও ভিলেনকে সংগ্রহ করেন তিনি। তখন থেকে তাদের নিজ পরিবারের সদস্যদের মতো লালন-পালন করে আসছেন। খাওয়াননি কোন ফিট বা অন্য কিছু। দানাদার খাবারের পাশাপাশি তার খাদ্য তালিকায় রয়েছে ধানের গুড়া, ভুসি, ছোলা বুট ও সবুজ ঘাসহ সকল দেশীয় খাদ্য। প্রতিদিন খাবারে জন্য তাদের দু-জনের পেছনে ব্যয় হয় ১৫শ থেকে ১৬শ টাকা। পছন্দের হিরো ও ভিলেনকে ভালবাসেন পরিবারের সবাই।

শহিদুল ইসলামের পরিবারের সদস্যরা জানান, স্বভাবে শান্ত হওয়ায় সাদা হালকা কালো রংঙ্গের গরুটির নাম রাখেন হিরো ও রাগি হওয়ায় কালো রংঙ্গের গরুটির নাম রাখেন ভিলেন। বিশাল আকৃতির গরু ২টি দেখতে খামারে প্রতিদিন স্থানীয় উৎসুক জনতা ভিড় জমাচ্ছেন।
গাইবান্ধার সাদুল্লাপুর উপজেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকতা ডা: মো: সিরাজুল ইসলাম জানান, প্রাণী সম্পদ বিভাগের পক্ষ থেকে সব সময় হিরো ও ভিলেনের চিকিৎসা ও খাবার ব্যবস্থাপনাসহ সার্বিক বিষয়ে খোজ রাখা হচ্ছে। ঈদকে কেন্দ্র করে এ ধরনের বড় গরু বিক্রিতে মালিকদের প্রাণী সম্পদ বিভাগের সহযোগিতা নেয়ার পরামর্শ দেন তিনি।
প্রায় আড়াই বছর আগে ৮০ হাজার টাকা দিয়ে ভিলেনকে ও ৬৫ হাজার টাকা দিয়ে হিরোকে স্থানীয় দুটি খামার থেকে সংগ্রহ করে লালন পালন করে আসছেন শহিদুল ইসলাম।
