সর্ব সাধারণের জন্য খুলে দেওয়া হচ্ছে উত্তরাঞ্চলের স্বপ্নের তিস্তা সেতু। স্বপ্নময় তিস্তা সেতু যাতায়াতের জন্য খুলে দেওয়া হলেই বিলুপ্তির আশঙ্কায় ইতিহাসের ঐতিহ্য বহুল পরিচিত নাম সেই হরিপুর খেয়াঘাটের। সেই সাথে দীর্ঘদিনের স্বপ্ন পূরণ হবে এই অঞ্চলের মানুষের। উত্তরাঞ্চলের গাইবান্ধা ও কুড়িগ্রাম জেলার মানুষের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ সংযোগস্থল হরিপুর খেয়াঘাট।
গাইবান্ধা জেলার সুন্দরগঞ্জ উপজেলাধীন চন্ডিপুর ও হরিপুর ইউনিয়নের উপর দিয়ে বয়ে যাওয়া তিস্তা নদী পারাপারের জন্য এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ নৌ-ঘাট। শত বছরের ইতিহাস ঐতিহ্যের হরিপুর নামে পরিচিত এ খেয়াঘাটটি প্রতিবছর জেলা পরিষদ কর্তৃক দেওয়া ইজারার ভিত্তিতে চলে আসছে।
এ অঞ্চলের মানুষের দীর্ঘদিনের স্বপ্নের তিস্তা সেতুর নির্মাণ কাজ শেষ। সর্ব সাধারণের চলাচলের জন্য সেতুটি খুলে দেওয়া হলেই গুরুত্বহীন হয়ে যাবে ঐতিহ্যেবাহী হরিপুর খেয়াঘাটটি। হয়তো নদী পারাপারের জন্য আর কোন যাত্রীকে খেয়াঘাটে বসে থাকতে দেখা যাবেনা। সেইসাথে আর হাক-ডাকও শোনা যাবেনা মাঝিমাল্লাদের।
নৌঘাটের মাঝি শাহাবউদ্দিন, ফারুক মিয়া ও হাবিবুর রহমান জানান, ঐতিহ্যের বহুল পরিচিত হরিপুর খেয়াঘাট তিস্তা সেতু নির্মাণে দিন দিন ঘাটের বিভিন্ন স্থান থেকে ঘুরতে আসা দর্শনার্থীদের ভিড় বাড়ছে তবে সেতুটি খুলে গেলে ঐতিহ্যের বহুল ঘাটটি বিলুপ্তির আশঙ্কায় দেখা দিতে পারে। ঘাটটি বিলুপ্ত হয়ে গেলে কর্মহীন হয়ে পড়বে প্রায় শতাধিক মাঝিমাল্লা। তাই সেতুটি উদ্বোধনের সাথে সাথে যদি ঘাটটি সংস্কার করা হয় তাহলে হয়তো ঐতিহ্যের বহুল ঘাটটি টিকে রাখা সম্ভব।
স্থানীয় নুরুনবি সরকার জানান, সেতুটি নির্মাণে দুই জেলার প্রায় কয়েক লাখ মানুষের ভোগান্তি লাগব হবে। একদিকে যেমন দ্রুত সময় যাতায়াত করতে অন্যদিকে কৃষি পণ্যসহ সকল ধরনের পণ্য ক্রয় বিক্রয় করতে পাবে। এ থেকে দুই জেলার মানুষের ভাগ্যে পরিবর্তন ঘটবে আশা করেন।
