আওয়ামী লীগের সাবেক সংসদ সদস্য আবদুস সালাম মুর্শেদী গুলশান-২ নম্বরে অবস্থিত যে বাড়িটি দখলে রেখেছেন, তা পরিত্যক্ত ঘোষণা করে ওই সম্পত্তি সরকারের কাছে হস্তান্তরের নির্দেশ দিয়ে পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশ করেছেন হাইকোর্ট।
বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি কাজী ইবাদত হোসেনের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট ডিভিশন বেঞ্চের দেওয়া ৫২ পৃষ্ঠার পূর্ণাঙ্গ রায়টি মঙ্গলবার (৯ ডিসেম্বর) সুপ্রিম কোর্টের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হয়।
রায়ে বলা হয়, গুলশান-২ এলাকায় অবস্থিত ‘খ’ তালিকাভুক্ত ওই পরিত্যক্ত সম্পত্তিটি অবৈধভাবে দখলে রেখেছেন হত্যা মামলায় কারাবন্দি সাবেক সংসদ সদস্য আবদুস সালাম মুর্শেদী। আদালত এই সম্পত্তি গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধির মাধ্যমে সরকারের কাছে হস্তান্তরের নির্দেশ দেন। এ নির্দেশ বাস্তবায়নের সময়সীমা নির্ধারণ করা হয়েছে ৯০ দিন।
এছাড়া বাড়িটির দখল বুঝে পাওয়ার পর ১৫ দিনের মধ্যে গৃহায়ণ ও গণপূর্ত সচিবকে হাইকোর্ট বিভাগের রেজিস্ট্রারের মাধ্যমে হলফনামা আকারে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। দখল গ্রহণের ১৫ দিনের মধ্যে আদালতকে তা জানাতেও বলা হয়েছে। বাড়িটি কোনো বেসরকারি ব্যক্তির কাছে ইজারা না দিয়ে জনস্বার্থে সংরক্ষণের নির্দেশও দেওয়া হয়েছে।
এর আগে ২০২৪ সালের ১৯ মার্চ খুলনা-৪ আসনের সংসদ সদস্য ও বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) সহ-সভাপতি আব্দুস সালাম মুর্শেদীর দখলে থাকা গুলশানের বাড়ি ৩ মাসের মধ্যে ছাড়তে হবে বলে রায় দেন হাইকোর্ট। রায়ের অনুলিপি পাওয়ার তিন মাসের মধ্যে সালাম মুর্শেদীকে গুলশানের বাড়ি গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের কাছে হস্তান্তরের নির্দেশ দেন আদালত।
বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি কাজী ইবাদত হোসেনের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় ঘোষণা করেন। আদালত রায়ে বলেছেন, দুদকসহ অন্যান্য সংস্থার তদন্ত রিপোর্টে প্রমাণিত হয়েছে সালাম মুর্শেদী গুলশানের যে বাড়িতে বসবাস করছেন সেটা সরকারের পরিত্যক্ত সম্পত্তি।
ফুটবলের বাতাস বের করে সরে গেলেন সালাম মুর্শেদী